বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে বিশ্বমানের শীর্ষে অবস্থান আরও মজবুত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ২৬৮টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত (পরিবেশবান্ধব) তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১১৪টি কারখানা প্লাটিনাম মানের এবং ১৩৫টি কারখানা গোল্ড মানের সনদ পেয়েছে।
বিশেষ আনন্দের বিষয় হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি এখন বাংলাদেশের। এ তথ্য বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
সম্প্রতি আরও পাঁচটি নতুন কারখানা এই সনদ অর্জন করেছে। এর মধ্যে তিনটি পেয়েছে প্লাটিনাম সনদ এবং দুটি পেয়েছে গোল্ড সনদ। নতুন যুক্ত হওয়া কারখানাগুলো হলো:
-
পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড – প্লাটিনাম, ৮৭ পয়েন্ট
-
ফ্যাশন পালস লিমিটেড – প্লাটিনাম, ৮৭ পয়েন্ট
-
গাভা প্রাইভেট লিমিটেড – প্লাটিনাম, ৮৭ পয়েন্ট
-
ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড – গোল্ড, ৭৬ পয়েন্ট
-
ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড – গোল্ড, ৬২ পয়েন্ট
বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “বাংলাদেশ এখন শুধু পোশাক রফতানিতে নয়, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থায়ও বিশ্বমানের শীর্ষে। আমাদের শিল্প খাত টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ অর্জন কেবল সবুজ বিনিয়োগের প্রতিফলন নয়, বরং এটি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে এক বড় পদক্ষেপ। সবুজ কারখানার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প আরও প্রতিযোগিতামূলক ও ভবিষ্যতনির্ভর হয়ে উঠছে, যা বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও মজবুত করবে।