দেশের জ্বালানি তেল বাজারে শীর্ষে উঠেছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি কোম্পানি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪১ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করেছে। এর মধ্যে পদ্মা অয়েল একাই বিক্রি করেছে ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৫১৮ টন, যা বিপিসির মোট বিক্রির প্রায় ৩৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, যেটি বিক্রি করেছে ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪ টন। তৃতীয় অবস্থানে আছে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, যার বিক্রি ১৭ লাখ ১৬ হাজার ২৫ টন। এই তিন কোম্পানির মাধ্যমে বিপিসির মোট বিক্রির প্রায় ৭৩ শতাংশই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান জানান, ‘গত কয়েক বছর কোম্পানি বিপিসির বাজারে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অপারেশনাল ক্ষতি কমে এসেছে। চলতি অর্থবছরেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’
মোট বিক্রির মধ্যে ডিজেলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৫ টন। ফার্নেস অয়েল বিক্রি হয়েছে ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮ টন, পেট্রল ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৫ টন এবং অকটেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৫৩ টন। জেট ফুয়েল বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৪ টন, যা এককভাবে পদ্মা অয়েলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এসএওসিএল) মাত্র ১ লাখ ২৬৫ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পেরেছে। এলপি গ্যাস লিমিটেড ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস ব্লেন্ডার্স পিএলসি খুব সীমিত পরিমাণেই বিক্রি করেছে। এসএওসিএলের সিইও ফেরদৌসী মাসুম হিমেল জানিয়েছেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসএওসিএলের বিক্রি ছিল উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের কারণে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা কমায় বিক্রি অনেক কমে গেছে।’
২০২৪-২৫ অর্থবছরের এই ডেটা থেকে বোঝা যাচ্ছে, পদ্মা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মধ্যে প্রতিযোগিতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে, এবং বিপিসির জ্বালানি বাজারে প্রধান অংশীদারিত্ব বজায় রাখছে তারা।