গত মাসে বোয়িং গ্রাহকদের কাছে ৫৫টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে। এই গতি অব্যাহত থাকলে কোম্পানিটি ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক সরবরাহের রেকর্ড গড়তে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উৎপাদন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়েছে। এর পেছনে ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের চাহিদা বেড়েছে। এভিয়েশন জায়ান্টটি এই মডেলের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছে। খবরটি সিএনবিসি থেকে।
সরবরাহকৃত ৫৫টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৪০টি ছিল ৭৩৭ ম্যাক্স। ইউরোপীয় বাজেট ক্যারিয়ার রায়ানএয়ার নিয়েছে ১০টি। অন্যান্য ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, চায়না সাউদার্ন এবং লিজিং কোম্পানি অ্যারক্যাপ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোয়িং মোট ৪৪০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে। এটি ২০১৮ সালের একই সময়ের ৫৬৮টির চেয়ে কম। সেই বছরে ৭৩৭ ম্যাক্সের দুটি দুর্ঘটনা কোম্পানিকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল।
প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস এই সময়ে ৫০৭টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করেছে।
বোয়িংয়ের সিইও কেলি অর্টবার্গ সেপ্টেম্বরে বলেছেন, বছরের শেষে ৭৩৭ ম্যাক্সের মাসিক উৎপাদন ৪২টিতে পৌঁছবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি ৭৩৭ ম্যাক্সে মাঝ আকাশে ডোর-প্লাগ খুলে যাওয়ার ঘটনায় মার্কিন এফএএ উৎপাদন সীমিত করে ৩৮টিতে বেঁধে দিয়েছিল। এখন নতুন নীতি মেনে লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে বোয়িং ৪৮টি উড়োজাহাজের নিট অর্ডার পেয়েছে। মোট বিক্রি হয়েছে ৯৬টি। হিসাব সমন্বয়ের পর নিট অর্ডার নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে ৬৪টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। টার্কিশ এয়ারলাইনস কিনেছে ৫০টি। নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইনস কিনেছে ৩০টি ৭৩৭ মডেল।

