বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এখন যেন অস্থির জলে ভাসমান নৌকা। একদিকে আমানতের ঘাটতি,তারল্য সংকট; অন্যদিকে প্রতিযোগিতা করে আমানত টানতে বাড়ানো হচ্ছে সুদের হার। ফলে অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়ে পড়ছে এমন এক অবস্থায়, যেখানে দুর্বল ব্যাংকগুলো গ্রাহক টানার জন্য দিচ্ছে অস্বাভাবিক উচ্চ সুদ। ফলে দেখা দিচ্ছে এক ধরনের বিপজ্জনক প্রতিযোগিতা, ব্যাংকগুলো অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদ দিচ্ছে গ্রাহকদের, আর এতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন এক ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিযোগিতা। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা, আস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই কাঠামো এখন প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার মাত্র ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ একই সময়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি। এর ফলে বেশ কিছু ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে, আর সেই সংকট পুষিয়ে তুলতেই শুরু হয় “উচ্চ সুদের লড়াই”।
ব্যাংক খাতে সুদের বাজারে প্রতিযোগিতার নতুন রূপ: ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক “SMART Policy Rate System” চালু করে। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বাজারের ওপর ভিত্তি করে সুদহার নির্ধারণ করতে পারে। উদ্দেশ্য ছিল সুদের ওপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে বাজারের গতিশীলতা বাড়ানো। কিন্তু বাস্তবে এর সুযোগ নেয় দুর্বল ব্যাংকগুলো।যেসব ব্যাংকে আস্থা কম, আমানতকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তারা হঠাৎ করেই ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ অফার করতে শুরু করে। অন্যদিকে ভালো পারফর্ম করা ব্যাংকগুলো স্থিতিশীল থেকে ৭ দশমিক ৫ থেকে ৮ শতাংশ সুদেই গ্রাহক ধরে রাখে। এই বৈষম্য বাজারে তৈরি করেছে “সুদের যুদ্ধ” , যেখানে স্বল্পমেয়াদে টিকে থাকতে গিয়ে অনেক ব্যাংক নিজের আর্থিক ভিত্তিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
কেন দুর্বল ব্যাংকগুলো উচ্চ সুদ দিচ্ছে?
একটি ব্যাংক যখন মূলধন ঘাটতিতে পড়ে, খেলাপি ঋণ বেড়ে যায় বা গ্রাহকের আস্থা হারায়, তখন তাদের একমাত্র হাতিয়ার থাকে আমানত টানা।এমন পরিস্থিতিতে তারা উচ্চ সুদ দিয়ে নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৫ সালের জুন মাসের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অন্তত ১২টি বেসরকারি ব্যাংক আমানত টানতে ১১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিয়েছে।এর মধ্যে কিছু ব্যাংকের তারল্য অনুপাত (Liquidity Ratio) ১৮ শতাংশের নিচে নেমে গেছে, যা নিরাপদ সীমা ২০ শতাংশের নিচে। এই অবস্থাকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, “High-Interest Survival Strategy” অর্থাৎ বেঁচে থাকার মরিয়া কৌশল।কিন্তু এই কৌশল দীর্ঘমেয়াদে আত্মঘাতী; কারণ এতে ব্যাংকের খরচ বেড়ে যায়, অথচ আয়ের উৎস সীমিত থেকে যায়।
আস্থা সংকটের গভীরে: বাংলাদেশের ব্যাংক খাত দীর্ঘদিন ধরে আস্থার সংকটে ভুগছে।খেলাপি ঋণ, ব্যবস্থাপনা দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাব, সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষ এখন ব্যাংকের প্রতি আগের মতো আস্থা রাখে না। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণের হার সর্বাধিক বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের শেষে এই হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ছিল ৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশে। অর্থাৎ প্রতিবছরই ঋণ খেলাপির হার বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ (২০২৫) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০২৫ সালের জুন শেষে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকায়, অর্থাৎ এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭ কোটি টাকা। বর্তমানে এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, অর্থাৎ ব্যাংক খাতের মোট ঋণের প্রায় চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে।
২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা ছিল বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। কিন্তু জুন ২০২৫ শেষে (সেপ্টেম্বর শেষে প্রকাশিত) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৩৩ শতাংশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো জানিয়েছে যে, দেশে বর্তমানে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৩ জন। এই বাস্তবতায় যখন কোনো ব্যাংক বেশি সুদ দিতে শুরু করে, তখন জনগণের মধ্যে সন্দেহ জাগে,“ব্যাংকটা কি সমস্যায় আছে?” ফলে গ্রাহকের আস্থা আরও কমে যায়।
তারল্য সংকটের বাস্তব চিত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, দেশের ৯টি ব্যাংক নিয়মিতভাবে ‘রিপো’ সুবিধা নিচ্ছে, অর্থাৎ তারা প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদী ঋণ নিয়ে দৈনন্দিন দায় মেটাচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের ( loan-to-deposit ratio (LDR) ৮৭ থেকে ৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে, যা নিরাপদ সীমা ৮৫ শতাংশের ওপরে। অন্যদিকে অনেক ব্যাংকের (Cash Reserve Ratio- CRR) ন্যূনতম সীমার কাছাকাছি নেমে এসেছে। এই তারল্য সংকটই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি সুদ দিতে বাধ্য করছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো একদিকে টাকার অভাবে ভুগছে, অন্যদিকে উচ্চ সুদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যা এক প্রকার আর্থিক অস্থিরতার চক্র তৈরি করছে।
গ্রাহক আচরণের পরিবর্তন: বর্তমানে অনেক আমানতকারী বেশি সুদে আকৃষ্ট হলেও সম্পূর্ণ অন্ধভাবে ঝুঁকছেন না। শহরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই বিভক্ত বিনিয়োগ কৌশল নিচ্ছেন, একাধিক ব্যাংকে ছোট ছোট ফিক্সড ডিপোজিট খুলছেন, যেন ঝুঁকি ভাগ করা যায়। অন্যদিকে অনেক মধ্যবিত্ত গ্রাহক সঞ্চয়পত্র, বন্ড, এমনকি ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্টেও আগ্রহী হচ্ছেন। এর ফলে ব্যাংকের ঐতিহ্যগত আমানত ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (BIBM)-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, “৬১ শতাংশ আমানতকারী এখন ব্যাংক নির্বাচন করেন ‘আস্থার ভিত্তিতে’, সুদের ভিত্তিতে নয়।” তবুও দুর্বল ব্যাংকগুলো এই বাস্তবতা বুঝতে না পেরে এখনো সুদের টোপেই টিকে থাকতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “যেসব ব্যাংক টিকে থাকার জন্য সুদের দৌড়ে নেমেছে, তারা সাময়িকভাবে হয়তো আমানত বাড়াতে পারছে, কিন্তু এই প্রবণতা ব্যাংকিং খাতের জন্য গভীর ঝুঁকির বার্তা।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান মন্তব্য করেন, “এটা আস্থা সংকটের প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা নয়। দুর্বল ব্যাংকগুলো বেশি সুদ দিচ্ছে, কিন্তু সেই সুদের টাকাও তারা ভবিষ্যতে পরিশোধ করতে পারবে কিনা, তা অনিশ্চিত।” বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (মরহুম) একবার বলেছিলেন, “যখন কোনো ব্যাংক অস্বাভাবিক সুদ অফার করে, তখন গ্রাহকের সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ উচ্চ সুদ মানেই উচ্চ ঝুঁকি।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির সীমাবদ্ধতা: বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের জুলাইয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সতর্ক করেছে, “অস্বাভাবিক সুদহার ব্যাংকের তারল্য ঝুঁকি ও আমানতকারীর আস্থা সংকট বাড়াতে পারে।” তবে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ “SMART” নীতির আওতায় ব্যাংকগুলো নিজস্বভাবে সুদ নির্ধারণের স্বাধীনতা পেয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন কেবল ‘তদারকির ভূমিকা’ পালন করছে, সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি অনেকটা “বাজারে মুক্ত প্রতিযোগিতা”র নামে “অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা”-তে রূপ নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্বল ব্যাংকগুলো কখনো বেশি সুদ দিয়ে গ্রাহক টানার চেষ্টা করেছে, আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই তা ব্যর্থতায় শেষ হয়েছে।২০০৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের সাবপ্রাইম ক্রাইসিসের আগে কিছু ছোট ব্যাংক এমন উচ্চ সুদনীতি নিয়েছিল, যার ফলে তারা দ্রুত ধসে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান-এও একই প্রবণতা দেখা যায়।অতিরিক্ত সুদে আমানত টেনে ব্যাংকগুলো পরে ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়ে। অর্থাৎ ইতিহাস বলছে, অতিরিক্ত সুদে টিকে থাকা যায় না, বরং ডোবা দ্রুত হয়।
সম্ভাব্য প্রভাব ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি: যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নিম্নলিখিত ঝুঁকিগুলো স্পষ্ট হবে-
ব্যাংকগুলোর মুনাফা হ্রাস পাবে। উচ্চ সুদের কারণে খরচ বাড়বে, অথচ ঋণের সুদ সীমিত থাকবে। আস্থা সংকট তীব্র হবে। দুর্বল ব্যাংকের প্রতি জনগণের সন্দেহ আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে।কিছু ব্যাংকের পুনর্গঠন ছাড়া বিকল্প থাকবে না। উপরন্ত অর্থনীতিতে চাপ পড়বে।ঋণ ব্যয় বাড়লে বেসরকারি বিনিয়োগ কমবে, প্রবৃদ্ধি মন্থর হবে। আমানতকারীর ঝুঁকি বাড়বে।অস্বাভাবিক সুদের ব্যাংকে রাখা অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা দুর্বল হবে।
আমাদের কে সমাধানের পথ খুঁজে বের করে তা প্রয়োগ করতে হবে। এই জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারকে এখনই সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে-
দুর্বল ব্যাংকের পুনর্গঠন করতে হবে। যেসব ব্যাংক টিকে থাকার সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের একীভূত করা। খেলাপি ঋণ কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রকৃত খেলাপি ঋণ প্রকাশ এবং পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করা। আর্থিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে হবে।ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা জনসম্মুখে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা। সুদের সীমা নির্ধারণ করতে বাজারভিত্তিক হলেও একটি সর্বোচ্চ সীমা (interest cap) নির্ধারণ করা। গ্রাহক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। উচ্চ সুদের প্রলোভন সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো।
ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, “সুদের হার দিয়ে ব্যাংকের বিশ্বাস কেনা যায় না। ব্যাংকিং ব্যবসার ভিত্তি হলো আস্থা, নৈতিকতা ও জবাবদিহি। যে ব্যাংক এই তিনটি হারায়, তার ভবিষ্যৎ টেকসই হয় না।” অতএব, ব্যাংকিং খাতের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, আস্থা ফিরিয়ে আনা। কারণ অর্থনীতির প্রাণশক্তি কেবল অর্থ নয়, বিশ্বাসই মূল পুঁজি।
আজকের এই “উচ্চ সুদের লড়াই” সাময়িকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখলেও এটি গোটা অর্থনৈতিক কাঠামোকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।আস্থা ছাড়া কোনো ব্যাংক টিকে থাকতে পারে না যেমনটি সুদের দৌড়ে বাজার জেতা যায় না। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের জন্য এখন প্রয়োজন বাস্তবসম্মত সংস্কার, আর্থিক শৃঙ্খলা এবং সর্বোপরি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার।নয়তো উচ্চ সুদের এই প্রলোভন একদিন পরিণত হবে গভীর আর্থিক সঙ্কটে, যার দায় বহন করতে হবে পুরো জাতিকেই।

