বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, তিনজন ভাইস প্রেসিডেন্ট, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালকও নির্বাচিত হয়েছেন। এদের সকলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পদ এবার রাখা হয়নি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক পদ বিলুপ্ত করা হলো। আজ সোমবার রাজধানীর বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্সের রণজিত ঘোষ। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদ আহমেদ (আপন ডায়মন্ড হাউস), অভি রায় (জড়োয়া হাউস লিমিটেড) এবং ইকবাল হোসেন চৌধুরী (জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড)। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্সের অমিত ঘোষ।
পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগারওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবলু দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহম্মেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ ও পলাশ কুমার সাহা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে কেউ মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায়, নির্বাচনী বিধিমালা-২০২৫ এর ধারা ২৪(১) অনুযায়ী ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান বলেন, “বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর তার দক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বাজুসের পরিচিতি বৃদ্ধি করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাজুস আজ প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি তাঁর উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।” তিনি আরও বলেন, “সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। বর্তমানে প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় দাম অনেক বেড়ে যায়। তাই আমরা ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে সহজ আমদানির উদ্যোগ নেব। যত দিন প্রক্রিয়া সহজ হবে না, তত দিন পর্যন্ত এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট গুলজার আহমেদ বলেন, “বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর ব্যবসায়ীদের জুয়েলারি ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পকে উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে বহু জুয়েলারি ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। বাজুস আজ সুসংগঠিত ও সর্ববৃহৎ জুয়েলারি সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

