রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণে সময় বৃদ্ধিসহ ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে মোট ৭ হাজার ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর পুরো অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। বৈঠকে নতুন ৯টি প্রকল্প, সংশোধিত ২টি প্রকল্প এবং ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোর একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—মানিকগঞ্জ ও সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওর এলাকায় ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণসহ ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে মোট ৭ হাজার ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—সমাপ্ত চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির অসমাপ্ত মা, শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, নিপোর্ট ও নার্সিং অধিদপ্তরের সমন্বিত উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চলমান কর্মসূচির অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা।
এর পাশাপাশি ঢাকা সেনানিবাসের নির্ঝর এলাকায় অফিসারদের জন্য ‘বি’ টাইপ বাসস্থান নির্মাণ, নড়াইল-কালিয়া মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে নবগঙ্গা নদীর ওপর কালিয়া সেতু নির্মাণ, ‘বিসিক শিল্প পার্ক, টাঙ্গাইল’, মানিকগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণার হাওরের সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে একটি করে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হবে। এছাড়া পাঁচটি চলমান প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজও সমাপ্ত করা হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ একনেক সদস্যদের ইতিমধ্যে অনুমোদন পাওয়া নয়টি প্রকল্প সম্পর্কেও অবহিত করেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শক্তিশালীকরণ, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন, শহীদ ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধি। এছাড়া উপকূলীয় বন ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, মেহেরপুর সদরে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও গবেষণা জোরদার, ঢাকা শহরের অবকাঠামো ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং র্যাবের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রকল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক পরিবহন ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীরপ্রতীক) এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. হোসেনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

