চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে আশ্বস্ত করেন, রুল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত টার্মিনাল কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে হস্তান্তর করা হবে না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তিনি বলেন, “চুক্তি প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রুল শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। রুল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান টার্মিনালটি গ্রহণ করতে পারবে না। এ বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন।”
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন চলতি বছর রিট করেন। প্রাথমিক শুনানির পর ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
রুলে প্রশ্ন করা হয়েছে, দেশি অপারেটরের অনুমতি না নিয়ে পিপিপি আইন ও নীতি লঙ্ঘন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কেন বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে এনসিটি পরিচালনার চুক্তি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এছাড়া যে কোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং কেন নিশ্চিত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে নৌ সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

