ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দুদক যৌথ টিম। গতকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজালালের নেতৃত্বে এ টিম আজই তাকে আদালতে হাজির করবে, জানিয়েছেন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালি ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। মামলার ১১ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ, নুরজাহান গ্রুপের পরিচালক এবং ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
মামলার অন্যান্য আসামি হলেন:
-
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ,
-
আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ,
-
সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার,
-
সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ,
-
সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম,
-
সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী,
-
সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন,
-
মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান,
-
জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ,
-
ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ার।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে তারা ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে।
শাখায় নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলা হয়। পরে হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদকে। নতুন প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি দেওয়া হলেও শর্তাবলি মেনে চলা হয়নি। ফলে সু-পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদসহ ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করা হয়।

