মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও তাঁর পরিচিত ভঙ্গিতে বড় ধরনের দাবি তুলেছেন। শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ তিনি লিখেছেন, শুল্ক আরোপের হুমকি দেখিয়েই তিনি বিশ্বের আটটি যুদ্ধের মধ্যে পাঁচটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন। ট্রাম্পের ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র এখন বিভিন্ন দেশ থেকে শুল্কের মাধ্যমে ‘ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার’ উপার্জন করছে—যা নাকি তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক সফলতার বড় কারণ।
ট্রাম্প পোস্টে বলেন, “আমি পাঁচটি যুদ্ধ সরাসরি শুল্কের হুমকি দেখিয়ে থামিয়েছি। অন্য দেশগুলো এখন আমাদের সঙ্গে আচরণে সতর্ক, কারণ জানে—আমরা চাইলে মুহূর্তেই শুল্ক বাড়াতে পারি।”
এর আগেও তিনি বহুবার দাবি করেছেন যে তাঁর শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক সংঘাত শান্ত করতে ভূমিকা রেখেছে। এমনকি চলতি বছরের মে মাসে ভারত–পাকিস্তান সংঘর্ষ বন্ধ করতেও তিনি নাকি ‘সরাসরি ভূমিকা’ রেখেছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই এমন কোনো ভূমিকাকে স্বীকার করেনি।
এ মন্তব্যের পেছনে রয়েছে তাঁর আগের বেশ কিছু বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেছেন—তাঁর চাপ সৃষ্টির কৌশল একাধিক সংঘাত ঠেকাতে সাহায্য করেছে।
পোস্টে নিজের পূর্বসূরি জো বাইডেনকেও একহাত নিলেন ট্রাম্প। দাবি করলেন—এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় “কোনো মুদ্রাস্ফীতি নেই”, অথচ বাইডেনের আমলে মুদ্রাস্ফীতি ছিল দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ। তাঁর ভাষায়, “স্লিপি জো বাইডেন আমেরিকাকে বিপদের মুখে ফেলেছিলেন।”
ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, গত ৯ মাসে মার্কিন পুঁজিবাজার ৪৮ বার নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। শুল্কনীতি এবং বিদেশি বিনিয়োগকে তিনি এর মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরেন।
পোস্টে তিনি লিওনার্দ লিওর কথা উল্লেখ করেন—যিনি যুক্তরাষ্ট্রে কনজারভেটিভ বিচারপতি নিয়োগ এবং নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি ‘কোচ পরিবার’-এর কথাও বলেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন রাজনীতিতে বড় অর্থ লগ্নি করে প্রভাব বিস্তার করে আসছে।
ট্রাম্পের দাবি, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র “সবচেয়ে ধনী, শক্তিশালী এবং সম্মানিত” অবস্থায় রয়েছে। তাঁর মতে, এই অবস্থানের পেছনে দুটি বড় কারণ—
১) ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বরের নির্বাচন
২) তাঁর শুল্কনীতি
ট্রাম্পের কথায়, এসব কারণ আমেরিকাকে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে দৃশ্যমান করেছে।

