চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও পুনরুদ্ধারের কিছু ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে। রপ্তানি ও আমদানি কিছুটা বেড়ে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়েছে। এসব সূচক সামগ্রিক অর্থনীতিকে ধীরে হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিচ্ছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব থেকে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর ফলে চাহিদা কমেছে এবং বিনিয়োগের গতি ধীর হয়ে গেছে।
তবু, প্রথম প্রান্তিকে কিছু খাতের কার্যক্রম বছরের পর বছর উন্নতি দেখিয়েছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি কমার এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতার কারণে কিছু পুনরুদ্ধারের সংকেত মিলেছে। রপ্তানি, আমদানি, মুদ্রাস্ফীতি ও রেমিট্যান্সের উন্নতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর আর্থিক ও মুদ্রানীতি, যা গত বছরের আগস্ট থেকে কার্যকর, দেশীয় চাহিদাকে কিছুটা দুর্বল করেছে। সেপ্টেম্বরে ২০২৫-এ বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬.২৯ শতাংশে নেমে আসে—যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন। এটি দুর্বল বিনিয়োগ আগ্রহ ও ব্যবসায়িক আস্থার হ্রাসকে স্পষ্টভাবে দেখায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪.৮৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি চতুর্থ প্রান্তিকে কমে ৩.৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

