জামালপুরের যমুনা সার কারখানায় দীর্ঘ ২৩ মাস পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করে। তবে কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। বিষয়টি আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে কারখানা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করেছে। দীর্ঘ সময় কারখানা বন্ধ থাকায় কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক, সার ডিলার ও স্থানীয়রা খুশি এবং উচ্ছ্বসিত। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটের কারণে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে প্রায় দুই বছর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলসহ উত্তরবঙ্গের ১৯ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার সার ডিলারের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে সার সরবরাহ করা হয়। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ থাকায় সার ডিলার, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা গ্যাস সংযোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করার দাবি জানিয়ে আসছিল।
বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা সার কারখানাটি স্থাপনার শুরু থেকে দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে আসছিল। কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২–৪৩ পিএসআই গ্যাস প্রয়োজন। তবে গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে বর্তমানে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাসের চাপ পুনরায় বৃদ্ধি করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ইউরিয়া উৎপাদন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, “গ্যাস সংকটে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছিল। ২৪ নভেম্বর থেকে তিতাস গ্যাস যমুনায় গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি করেছে। তবে যন্ত্রাংশ কিছুটা মেরামত করে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।”

