রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে ধারণা তৈরি হয়েছে, আগামী বছরে জ্বালানি তেলের সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৭ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ১০ ডলার। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২৩ সেন্ট কমে ৫৮ দশমিক ৬১ ডলার হয়েছে। সোমবার দাম বেড়েছিলো, কিন্তু মঙ্গলবার তা আবার কমেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৬ সালে বিশ্বে জ্বালানি তেলের সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি হতে পারে। এই পূর্বাভাস বাজারে চাপ সৃষ্টি করছে। প্রাইভেট কোম্পানি রিলায়েন্সসহ কিছু ভারতীয় রিফাইনারি নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে। ফলে রাশিয়া অতিরিক্ত তেল চীনে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ডয়েচে ব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে জ্বালানি তেলের বাজারে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ব্যারেল উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। ২০২৭ সালেও ঘাটতির সম্ভাবনা কম। তবে সুদের হার কমলে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি বৈঠকে সুদের হার কমার সম্ভাবনা বাজারে নতুন আশা জাগিয়েছে। সুদের হার কমলে অর্থনীতি চাঙ্গা হয় এবং তেলের চাহিদাও বাড়ে। অর্থাৎ বাজার এখন একদিকে সরবরাহ উদ্বৃত্তের আশঙ্কা, অন্যদিকে সুদের হার কমলে চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা—এই দুইয়ের টানাপোড়েনে আছে।

