চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৯ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা—মোট ২৬৮ কোটি ১১ লাখ ডলার। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে হিসাব করলে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ৩২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অর্থনীতি চাপের মধ্যে থাকলেও প্রবাসী আয় এখনো দেশের জন্য বড় ভরসা হয়ে আছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়—নভেম্বরের এই সময়সীমায় বিভিন্ন ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো পাঠিয়েছে ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে সবচেয়ে বেশি—১৮৭ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর অবদান তুলনামূলক কম হলেও সেখানে এসেছে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এর আগে অক্টোবর মাস জুড়ে দেশে এসেছিল ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। অর্থাৎ নভেম্বরের প্রবাহ গত মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি।
সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশে এসেছে ১০১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা প্রায় ১০ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক আয়। টাকায় হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২২ কোটি।
প্রবাসীদের এই ধারাবাহিক অর্থপ্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চাপে অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।

