চট্টগ্রামে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া ছয়টি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প দীর্ঘসূত্রতা ও অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির চাপে পড়েছে। ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, প্রশাসনিক বিলম্ব এবং একাধিকবার পরিকল্পনা সংশোধনের কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ থমকে আছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) যৌথভাবে গত চার থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কাজ শেষ না হওয়ায় একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ছয়টি প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। শুরুতে প্রকল্পগুলোর অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু মূল হিসাবের বাইরে এখন অতিরিক্ত প্রায় ৮ হাজার ৪৭ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রশাসনিক জটিলতা ও ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ কাজের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবেশগত ও প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহেও বারবার দেরি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পগুলোর কাজের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ঘন ঘন বাজেট পুনর্বিন্যাস ও সময়সীমা বাড়ানোর ফলে প্রকল্পগুলোর আর্থিক চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে সরকারি অর্থ ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
চট্টগ্রামের স্থাপত্য বিশেষজ্ঞরা এই দীর্ঘ বিলম্ব ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, শুধু সময় বাড়ানোর যুক্তিতে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধিকে ব্যাখ্যা করা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলছেন, বিলম্বের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর বিশেষজ্ঞ ও স্বাধীন স্থপতিদের সমন্বয়ে ফরেনসিক অডিট করা জরুরি। দরপত্র প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল কি না এবং কাজ চলাকালে কেন নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেটিও যাচাই করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন পুনরায় পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
খাল খনন প্রকল্পের ধীরগতি:
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্য নিয়ে নেওয়া খাল খনন প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতির কারণে কার্যকারিতা হারাচ্ছে। সময় ও ব্যয়ের বড় ব্যবধান প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জলাবদ্ধতা কমাতে ২০১৪ সালে বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন খাল খনন প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। তবে ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অর্থ বরাদ্দে জটিলতা ও জমি অধিগ্রহণ সমস্যার কারণে দীর্ঘ সময় প্রকল্পটি থমকে ছিল।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। শুরুতে ৩২৬.৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তখন প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। পরে ২০১৭ সালে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। ২০২২ সালে দ্বিতীয় সংশোধনে ব্যয় আরও বেড়ে হয় ১ হাজার ৩৬২.৬২ কোটি টাকা।
প্রাথমিক ব্যয়ের তুলনায় প্রকল্পটির মোট খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০৪ শতাংশ। ব্যয় বৃদ্ধির বড় অংশই ব্যয় হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি আরও শ্লথ হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৮৯ শতাংশ। ২.৯ কিলোমিটার খালের মধ্যে ২ কিলোমিটারের বেশি অংশের খননকাজ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এখন চসিক প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
দীর্ঘসূত্রতার কারণে নগরবাসী এখনো জলাবদ্ধতা থেকে প্রত্যাশিত স্বস্তি পাচ্ছে না। প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক ও চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম বলেন, প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণে। তিনি জানান, খননকাজ মূলত ২০২১ সাল থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রামে বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ধীরগতিতে এগোচ্ছে। ২ হাজার ৪৯০.৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি ২০২২ সালের মার্চে অনুমোদিত হলেও ভৌত অগ্রগতি মাত্র ৫২.৫৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ। প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু রাস্তাঘাটের মাটির সমস্যা, তীব্র যানজট এবং স্থানীয় অবকাঠামোর সঙ্গে সমন্বয়ের জটিলতার কারণে কাজের গতি কমে গেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সম্প্রতি আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) প্রথম ২০১৯ সালে ৩ হাজার ১৬৯.৯৯ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এই প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিল। পরে ২০২০ সালে প্রকল্প যাচাই কমিটির নির্দেশনায় ডিপিপি সংশোধন করা হয়। কয়েক দফা যাচাইবাছাই ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে ২০২১ সালের মার্চে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তখন ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন কিছু সমন্বয় করে প্রকল্পটি ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকায় অনুমোদন দেয়।
চুয়েটের অধ্যাপক মো. আফতাবুর রহমান বলেন, “প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডি যথাযথভাবে করতে হবে। শুধু কথার কথা বা ডকুমেন্টেশনের জন্য করলে কাজের দীর্ঘসূত্রিতা বা সমস্যাগুলো এড়ানো যাবে না। ফিজিবিলিটি স্টাডিতে থাকতে হবে প্রকল্পে কী কী ঝামেলা হতে পারে এবং সেগুলোর সমাধান কী। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোর দিতে হবে।” দীর্ঘসূত্রতা ও বাস্তব চ্যালেঞ্জের কারণে নগরবাসী অবকাঠামো উন্নয়নের সুফল সময়মতো পাচ্ছে না। প্রকল্প তদারকি ও পরিকল্পনামূলক প্রস্তুতি বাড়ানো না গেলে ধীরগতি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন ও যান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলেও দীর্ঘসূত্রতা ও বাস্তব চ্যালেঞ্জের কারণে প্রকল্পগুলো ধীরগতিতে এগোচ্ছে। সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যে বড় প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছে, সেগুলোর ব্যয় ও সময়সীমা বারবার বৃদ্ধি পেয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর নেওয়া ‘খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বাস্তবায়ন করছে। নগরীর ৩৬টি খালকে ঘিরে এই প্রকল্প ২০১৭ সালে অনুমোদিত হয়েছিল। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ, আর্থিক অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ। ৩৬টি খালের মধ্যে ১৯টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, আরও পাঁচটির কাজ শেষের পথে। প্রকল্পের আওতায় ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল, ৪৫টি সেতু, ৬টি কালভার্ট, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ, পাঁচটি রেগুলেটর ও ১০.৭৭ কিলোমিটার নতুন নালা নির্মাণের কাজ চলছে। তবে বর্ষার সময় প্রচুর পলি জমা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ২৭টি সিল্ট ট্র্যাপ নির্মাণের কথা থাকলেও বর্ধিত ব্যয়ের কারণে ১২টি বাদ দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি সুফল ও কর্ণফুলীর প্রবাহ ও চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পও একই ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদে অনুমোদিত এই প্রকল্পের ব্যয় দুই দফা সংশোধনের পর বেড়ে ৪ হাজার ৩১৪.৮৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও আইনি বিরোধের কারণে ২০২২ সালের জুনে কাজ শেষ করা যায়নি। তিন দফা সময় বাড়ানোর পর এখন মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৯১ শতাংশ।
এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য ১৫টি র্যাম্পের পরিকল্পনা থাকলেও ছয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৯টির কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর ফলে এক্সপ্রেসওয়ের কানেক্টিভিটি কমেছে। প্রাক্কলিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় ২০২৫ সালে প্রতিদিন ৩৯ হাজার ৩৮৮টি গাড়ি চলাচল করবে বলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সিডিএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৮ হাজারের বেশি গাড়ি চলছে, যা সম্ভাব্যতার মাত্র ২০ শতাংশ। উড়ালসড়কটি ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হলেও পরীক্ষামূলক যান চলাচল শুরু হয় ২০২৪ সালের আগস্টে। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে টোল আদায় কার্যকর হয়েছে।
চট্টগ্রামে সিডিএর বিভিন্ন বড় প্রকল্প দীর্ঘসূত্রতা, ব্যয় বৃদ্ধি ও বারবার মেয়াদ বাড়ানোর সমস্যায় দাড়িয়েছে। শহরের অবকাঠামো ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নেওয়া এসব প্রকল্পে অগ্রগতি ধীর হওয়ায় নগরবাসী কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছে না। পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত আউটার রিং রোড প্রকল্প অন্যতম। ২০১১ সালে চার বছর মেয়াদে ৮৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত এই প্রকল্পের ব্যয় একাধিকবার সংশোধনের মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৩২৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ প্রাথমিক ব্যয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৮৮ শতাংশ। প্রকল্পের বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৯১.৬০ শতাংশ। মেয়াদ সর্বশেষ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই রিং রোড প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরকে জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করা, বাইপাস সড়ক তৈরি, উপকূলের সঙ্গে কর্ণফুলী টানেলের সংযোগ স্থাপন এবং পর্যটন, আবাসন ও শিল্পের জন্য জমি প্রস্তুত করা।
সিডিএর আরও একটি বিলম্বিত উদ্যোগ হলো ‘কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প’। ২০১৭ সালে ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকায় অনুমোদিত হলেও বর্তমানে ব্যয় বেড়ে ২ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয় এবং এ পর্যন্ত ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়াদ নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ আনোয়ারুল নজরুল বলেন, “এই বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। আগে ব্যয় বাড়ানো হয়েছিল, এবার সেই সুযোগ নেই। কোনো কারণে কাজ শেষ না হলে মেয়াদ বাড়ানো হবে, কিন্তু ব্যয় বাড়ানো হবে না।” প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান নুরুল করিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

