বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ট্যারিফ সংক্রান্ত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও উজ্জ্বল ফলাফল দেখিয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সময়ে বাংলাদেশের রফতানি ১৮.৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা OTEXA-এর তথ্যমতে, এই সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ৬.৪২ বিলিয়ন ডলার পৌঁছেছে, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৫.৪১ বিলিয়ন ডলার।
পরিমাণের দিক থেকে, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ ২.০৭ বিলিয়ন বর্গমিটার পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে, ভিয়েতনাম মার্কিন বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, ১২.৭৪ বিলিয়ন ডলার রফতানি করে। চীনের রফতানি ২৯.৮৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা উচ্চ ট্যারিফ এবং আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবকে নির্দেশ করে।
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা মনে করছেন, OTEXA-এর সেপ্টেম্বরের তথ্য মূলত জুলাইয়ের শিপমেন্টের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন ট্যারিফ আগস্টে কার্যকর হওয়ায় আসল প্রভাব বোঝার জন্য আরও দুই মাসের তথ্য দরকার।
বিকেএমইএ-র সভাপতি ফজলে শামিম এহসান জানিয়েছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নির্বাচনের পর বাজারের বিশ্বাস ফেরালে বাংলাদেশ আরও বেশি রফতানির সুযোগ পাবে। চীনের অনেক অর্ডার যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিফট হচ্ছে, তাই বাংলাদেশও এই সুযোগ নিতে পারবে। তবে ইউরোপীয় বাজারে বাংলাদেশের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেখানে চীন কম দামে রফতানি বাড়াচ্ছে।
মোটকথা, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ট্যারিফের ঝড় অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাজারের বিশ্বাস ফিরলেই রফতানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

