কথায় আছে, কপালের নাম গোপাল। সেই প্রবাদকেও যেন ছাপিয়ে গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক পদোন্নতির ঘটনা। শুধু ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিপনকে কমিশনার করতে দফায় দফায় পেছানো হয় ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির (ডিপিসি) বৈঠক। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে যুগ্ম কমিশনার থেকে পদোন্নতি দিয়ে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে কমিশনারের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত রোববার পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হলেও সরকারি ছুটির আগের দিন সোমবার মধ্যরাতে তা কার্যকর করা হয়। সবখানেই অটোমেশনের কথা বলা হলেও এনবিআর বা অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়নি। মধ্যরাতে কমিশনার হওয়া আট কর্মকর্তার কারণে নানা অজুহাতে আরও পাঁচ কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে যায়। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, পাঁচ আগস্টের একটি সুযোগকে কেন্দ্র করে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা মাত্র ১৪ মাসে চার দফা পদোন্নতি পেয়েছেন। প্রথম দফায় তাকে সহকারী কমিশনার থেকে উপকমিশনার করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে করা হয় যুগ্ম কমিশনার। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর তাকে অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়। সর্বশেষ সোমবার তাকে কমিশনারের চলতি দায়িত্ব দেয় এনবিআর।
তবে অতিরিক্ত কমিশনার করার আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১৭ নভেম্বর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে জানায়, ওই কর্মকর্তার নামে মামলা চলমান রয়েছে। পরে ২৫ নভেম্বর দুদকের আরেক পরিচালক তার অনাপত্তিপত্র ইস্যু করেন। দুদকের দুই পরিচালকের দুই ধরনের চিঠি ঘিরে প্রশাসনের ভেতরে নানা আলোচনা চলছে।
সোমবার মধ্যরাতে পদোন্নতি পাওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন শামীমা আক্তার, মু. রইচ উদ্দিন খান, মুহা. মাহবুবুর রহমান, মো. গিয়াস কামাল, মোহাম্মদ সফিউর রহমান, মো. মুশফিকুর রহমান ও মানস কুমার বর্ধন। এই পদোন্নতির ফলে শুল্ক ক্যাডারের আরও পাঁচ কর্মকর্তা সুপারসিড হয়েছেন।

