চলতি বছর বিশ্বব্যাপী কয়লার চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি এবং প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রসার ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার চাহিদা কমিয়ে আনতে পারে।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর দিয়েছে রয়টার্স। বিশ্বকে কয়লামুক্ত করা জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবুও জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। আইইএর ২০২৫ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে কয়লার চাহিদা ০.৫ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৮.৮৫ বিলিয়ন টনে পৌঁছাবে।
আইইএর এনার্জি মার্কেটস অ্যান্ড সিকিউরিটির পরিচালক কেইসুকে সাদামোরি বলেন, “ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী কয়লার চাহিদা অনেকটা কমবে। চলতি দশকের শেষ নাগাদ ধীরে ধীরে হ্রাস শুরু হবে।”
তবে ২০২৫ সালে চাহিদার প্রবণতা ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও, গত বছরের তুলনায় বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভারতে তীব্র বর্ষার কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় এবং বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় কয়লার ব্যবহার পাঁচ দশকের মধ্যে তৃতীয়বার হ্রাস পেয়েছে।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বাড়ায় এবং কয়লা খনি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এতে কয়লা উৎপাদন বেড়ে যায়।
বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা ব্যবহারকারী দেশ চীনে চাহিদা স্থিতিশীল থাকলেও, নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার কিছুটা কমতে পারে। তবে আইইএর রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে, দ্রুত বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির বা ধীর নবায়নযোগ্য শক্তির একীভূতকরণের ফলে বিশ্বব্যাপী চাহিদা পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হতে পারে।
সাদামোরি বলেন, “চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি কয়লা ব্যবহার করে। এটি বিশ্বব্যাপী কয়লা বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি।”

