দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকু এবং তাঁর সন্তানদের নামে মোট ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, মো. শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে এস এম আসিফ শামস এবং তাঁর মেয়ে মিসেস মুমতাহিন ও মেয়ের জামাই মোস্তফা এস এম নাসিফ শামসের সম্পদের বিষয়ে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম আসিফ শামসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৩ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর মেয়ে মিসেস মুমতাহিন মোস্তফার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য। এছাড়া তাঁর মেয়ের জামাই এনার্জি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাসিফ শামসের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৫ টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে। এই প্রেক্ষাপটে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় সংশ্লিষ্টদের পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

