মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা হচ্ছে। একটি হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, অন্যটি কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হচ্ছে দুটি পৃথক অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম ও কার্যতালিকা প্রণয়ন করা। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারির ডিসি সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা মাউশি ভেঙে দুটি অধিদপ্তর গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখনও শিক্ষা ক্যাডারের আপত্তি ও বিতর্কের কারণে প্রস্তাবটি স্থগিত হয়। প্রায় আড়াই বছর পর মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাব পুনরায় সামনে এনেছে। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও তৎকালীন শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত সারসংক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয় এবং সরকারপ্রধানের অনুমোদন পাওয়া যায়।
তবে মাউশি বিভাজনের প্রস্তাবে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরস্পর সম্পর্কিত। দুটি আলাদা অধিদপ্তর হলে সমন্বয়হীনতা ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়বে। একই প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থাকলে কার্যক্রম পরিচালনা জটিল হয়ে উঠবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, “অংশীজনের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অগ্রহণযোগ্য। প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে এই বিভাজন রোধ করা হবে।”
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, “শিক্ষা সবচেয়ে বড় ক্যাডার। এখানে ১৯ হাজার কর্মকর্তা কর্মরত। বিভাজনের সিদ্ধান্ত তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা বাড়াবে।”

