বহু বছর আগে স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি রহস্যময় খবর আবার আলোচনায় এসেছে—বলিউড অভিনেতা আমির খান ও ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হিন্সের একটি সন্তানের জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি আমির খানের ছোট ভাই ফয়সাল খান এই গুঞ্জন নতুনভাবে উসকে দিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল খান সরাসরি অভিযোগ করেন, রীনা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন আমির জেসিকা হিন্সের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। ফয়সালের দাবি, “আমিরের বিয়ে হয়েছিল, রীনার সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়েছে। এরপর তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেসিকার সঙ্গে। তাদের একটি অবৈধ সন্তানও আছে, যার নাম জান।”
তিনি আরো বলেন, একই সময়ে আমির কিরণ রাওয়ের সঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন, যা অভিনেতার ব্যক্তিজীবনের জটিলতা আরও স্পষ্ট করে।
জেসিকা হিন্স ও সম্পর্কের প্রেক্ষাপট-
জেসিকা হিন্স ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক। নব্বই দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চনের জীবনী লেখার সূত্রে ভারতে আসেন তিনি। সেই সময় ‘ঘুলাম’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন আমির খানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
২০০৫ সালে স্টারডাস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তারা কিছুদিন লিভ-ইনে ছিলেন। এই সময়ে জেসিকা গর্ভবতী হন। অভিযোগ রয়েছে, আমির তাকে গর্ভপাতের পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু জেসিকা সেই পথে যাননি এবং পরবর্তীতে এক সন্তানের জন্ম দেন, যার নাম রাখা হয় জান।
২০০৭ সালে জেসিকা লন্ডনভিত্তিক ব্যবসায়ী উইলিয়াম ট্যালবটকে বিয়ে করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জানকে বড় করতে ট্যালবট সবসময় সহায়ক ও সুরক্ষামূলক ভূমিকা রেখেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড়-
বছরের পর বছর গুঞ্জন মিলিয়ে গেলেও মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় ফিরে আসে। বিশেষ করে জানের ছবি ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা তার চেহারায় আমির খানের ছায়া দেখতে পান। ব্রিটিশ ভোগেও জানের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, যা নিয়ে তুলনা দেখা গিয়েছে।
তবে এপর্যন্ত আমির খান প্রকাশ্যে জেসিকা হিন্স বা তার সন্তানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এবং বরাবর নীরব ছিলেন।
সম্প্রতি এই বিতর্কে ফয়সাল খান নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, রীনা দত্তের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন আমির জেসিকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাদের একটি অবৈধ সন্তানও রয়েছে। ফয়সাল ইনস্টাগ্রামে বার্তায় নিজের পরিবারের সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে আমির খানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফয়সাল মানসিকভাবে অসুস্থ, যার কারণে তিনি এসব মন্তব্য করছেন। তার চিকিৎসাও দীর্ঘদিন ধরে চলছে।