Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Sep 11, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » চার বছরে তিন সরকারের পতন, রাজনীতিতে কি আসছে পরিবর্তন?
    ফিচার

    চার বছরে তিন সরকারের পতন, রাজনীতিতে কি আসছে পরিবর্তন?

    এফ. আর. ইমরানSeptember 11, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    ছবি: সংগৃহীত
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    গত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার ঢেউ লক্ষ্য করা গেছে। মাত্র চার বছরে তিনটি দেশে সরকার পতন হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারেও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আন্দোলনগুলোর ধরণ প্রায় একইরকম। প্রথমে নির্দিষ্ট কোনো দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। এরপর সেই দাবি মেনে না নেওয়া, সরকার দমনমূলক পদক্ষেপ, নিরাপত্তা বাহিনীর মোতায়েন এবং সরকারের দায়িত্বশীলদের বেফাঁস মন্তব্য আন্দোলনকে বড় আকার ধারণ করতে সহায়তা করে। শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পদত্যাগ বা সরকারের পতন ঘটে।

    অনেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই ঢেউকে আরব বসন্তের সঙ্গে তুলনা করছেন। এই ঢেউ শুরু হয় ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা থেকে। হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতার চাপের মুখে তখন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। তিন বছর পর একই ধরনের আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশেও। সরকারি চাকরিতে কোটার সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেফাঁস মন্তব্য এবং সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানি আন্দোলনকে সরকার পতনের পর্যায়ে নিয়ে যায়।

    নেপালেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম দিনে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর আন্দোলন বড় আকার নেয়। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং মন্ত্রীদের বাড়িঘরে আগুন ধরায় ও ভাঙচুর চালায়। চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রাসাদ ওলি পদত্যাগ করেন। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনিই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন।

    বিশ্লেষকরা দেখছেন, দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ প্রজন্ম শুধুমাত্র সরকারের পদত্যাগ নয়, বরং নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি চাইছে। শুরুতে আন্দোলনগুলো নির্দিষ্ট কোনো ইস্যুর কারণে হলেও শেষ পর্যন্ত জনগণের ক্ষোভ শাসকগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি অবিশ্বাসে পৌঁছেছে। তারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা বছরের পর বছর দুর্নীতি, বৈষম্য ও অদক্ষ শাসন চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন কঠিন করে তুলেছে।

    এই তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনগুলো প্রায়ই সহিংস হয়ে উঠে, শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সরকারের পতনের পর দেখা দেয় রাজনৈতিক শূন্যতা, যেখানে অনির্বাচিত নেতৃত্ব ও দুর্বল আইনশৃঙ্খলা নতুন সংকট সৃষ্টি করে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক রাজনীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল স্ট্যানিল্যান্ড বলেন, “শাসক শ্রেণিকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ হিসেবে দেখার ধারণা রাজনৈতিক সংকটের মূল ভিত্তি তৈরি করেছে।”

    নেপালে সম্প্রতি আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীসহ তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। নতুন সরকারের কাঠামো ও ক্ষমতার বন্টন এখনো অনিশ্চিত। দেশের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে যে প্রথাগত শাসকগোষ্ঠী পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে। ২০১৫ সালের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর থেকে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সাধারণ চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী এক থেকে দুই বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি।

    এর আগে ২০০৬ সালে সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে শেষ হয় নেপালের রাজতন্ত্র। চলমান আন্দোলন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। অধ্যাপক স্ট্যানিল্যান্ড বলেন, “মূল প্রশ্ন হলো, নেপালে পুনরায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করা সম্ভব হবে কি না।”

    প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতা দেখায় দ্রুত সমাধান বা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সহজ নয়। শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে রাজাপক্ষে পরিবারের পতনের পর প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিংহে দেশকে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তী নির্বাচনজয়ী সরকার জনজীবনের মান উন্নয়ন, সরকারি দুর্নীতি নির্মূল ও ক্ষমতাধরদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তেমন উন্নতি হয়নি। দেশবাসী এখনো অর্থনৈতিক সংকট, মানবাধিকার সমস্যা এবং বৈদেশিক ঋণের সঙ্গে লড়াই করছেন।

    বাংলাদেশেও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স এক বছরের বেশি হলেও দেশে শৃঙ্খলা পুরোপুরিভাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের সময়সীমা অনিশ্চিত থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় মব ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।

    অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও জনবিক্ষোভ দেখা গেছে। ইন্দোনেশিয়ায় সংসদ সদস্যদের সুবিধা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভে অন্তত সাতজন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা মন্ত্রীদের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন।

    পল স্ট্যানিল্যান্ড বলেন, “অধিকাংশ আন্দোলন কোনো বড় পরিবর্তন ছাড়া শেষ হয়। তবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতিতে ছোট ভুল বা অপ্রত্যাশিত ঘটনা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।”

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    পোশাক রপ্তানি সহজ করতে ৭ দফা প্রস্তাব বিজিএমইএর

    September 11, 2025
    আন্তর্জাতিক

    নেপালের সিংহদরবারে অগ্নিসংযোগ: পুড়ে ছাই বাংলা ভাষার প্রাচীনতম ইতিহাস!

    September 11, 2025
    বাংলাদেশ

    যমুনা রেলসেতুতে প্রত্যাশার অর্ধেক ট্রেন

    September 11, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    টেকসই বিনিয়োগে শীর্ষে থাকতে চায় পূবালী ব্যাংক

    অর্থনীতি August 15, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.