Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Tue, Nov 4, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বানিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছে মানুষ: চন্দ্রাভিযান নাকি নতুন যুদ্ধের সংকেত?
    ফিচার

    চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছে মানুষ: চন্দ্রাভিযান নাকি নতুন যুদ্ধের সংকেত?

    এফ. আর. ইমরানNovember 4, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    নাসার মনুষ্যবিহীন আর্টেমিস-১ অভিযানের ওরিয়ন নভোযান।ছবি: নাসা/ফক্স ফর
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই প্রথম চাঁদে পা রেখেছিল মানুষ। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ৫৫ বছর। আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালে আবার চাঁদে যাবে মানুষ। অবশ্য চীনও ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কীভাবে চলছে সেই প্রস্তুতি—সেসব নিয়ে এই লেখা।

    শত শত বছর ধরে মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে চাঁদ। সেখানে মানুষের প্রথম পা রাখার প্রায় ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। এখন আবারও বিজ্ঞানীরা চন্দ্রজয়ের তোড়জোড় শুরু করেছেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা।

    যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাইছে সবার আগে চাঁদে মিশন পাঠাতে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে চাঁদে নভোচারীসহ অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সেপ্টেম্বর মাসে নাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক লেকিশা হকিন্স এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছিলেন।

    নাসার তথ্যানুযায়ী, চন্দ্রজয়ে ‘আর্টেমিস ২’ নামের মিশন পরিচালনা করা হবে। এ মিশন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা চাঁদে অবতরণের জন্য নির্ধারিত ‘আর্টেমিস ৩’ মিশনে ব্যবহার করা হবে। ২০২৭ সালে এ মিশন পরিচালিত হবে। নাসার এই তৃতীয় আর্টেমিস অভিযানের মাধ্যমে ৫৭ বছরের বেশি সময় পর আবার চাঁদের বুকে মানুষের পা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গ্রাফিক্স: প্রথম আলো

    নাসার কর্মকর্তা হকিন্সের তথ্যানুযায়ী, নাসার আর্টেমিস ২ মিশনে প্রথম নভোযান উৎক্ষেপণের সুযোগ আসতে পারে ২০২৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে পরিকল্পিত উৎক্ষেপণ তারিখ ছিল ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে। তবে সময় কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে।

    এ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিস্টেম পরীক্ষা করা, যেমন নভোচারীর জীবনধারণব্যবস্থা। এসব অভিজ্ঞতা ২০২৭ সালে চাঁদে অবতরণের জন্য নির্ধারিত আর্টেমিস ৩ মিশনে ব্যবহার করা হবে।

    পাঁচ দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ কর্মসূচি আর্টেমিস, যাতে নভোচারী নিয়ে চাঁদে মিশন পাঠানো হবে।

    হকিন্স বলেন, নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো চাঁদে মানুষের অব্যাহত উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এর অংশ হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক অংশীদার, বিশেষ করে ইউরোপের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হবে, যা প্রথম নভোচারীদের পরবর্তী গন্তব্য মঙ্গল গ্রহে পৌঁছে দিতে সাহায্য করতে পারে।

    পাঁচ দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশ কর্মসূচি আর্টেমিস, যাতে নভোচারী নিয়ে চাঁদে মিশন পাঠানো হবে। অ্যাপোলো প্রোগ্রামের এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মূলত চীনকে পেছনে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্র আগাম এ মিশনের পরিকল্পনা করেছে।

    চীনের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানো। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে সবার আগেই সাফল্য পেতে মরিয়া। এরই মধ্যে চীন ২০৩০ সালের আগে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নতুন রকেট ও নানা ধরনের চন্দ্র ল্যান্ডার নিয়ে বেইজিং বেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

    আর্টেমিস ও অ্যাপোলো কর্মসূচির মধ্যে বড় এক পার্থক্য রয়েছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র অন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা ছাড়াই চন্দ্র মিশনে যাচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালে চাঁদের মিশনের অংশ হিসেবে আর্টেমিস ১ কর্মসূচিতে নভোচারী ছাড়া প্রথম ওরিয়ন ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করা হয়।

    এখন দ্বিতীয় মিশনটি চাঁদের কক্ষপথে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট হিসেবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এত ওরিয়ন ক্যাপসুল, এসএলএস রকেট এবং ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যপ্রণালি যাচাই করা হবে।

    আর্টেমিস ২-এ কী কী থাকবে-

    আর্টেমিস ২-এর অভিযান প্রায় ১০ দিন চলবে এবং এতে চারজন নভোচারী ১২ লাখ মাইলের বেশি দূরত্ব পাড়ি দেবেন। পৃথিবীর কক্ষপথে দুবার ঘুরে আসার পর ওরিয়ন ক্যাপসুলে থাকা চারজন ক্রু সদস্য চাঁদের দিকে যাত্রা করবেন এবং একবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবেন।

    নভোচারীরা ক্যাপসুলের জানালা থেকে চাঁদের দূরপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করবেন। এ সময় চাঁদ থেকে তাদের নিকটতম দূরত্ব হবে প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ মাইল (৭ হাজার কিলোমিটার)। নাসার এ যাত্রার সময় নভোচারীরা যেসব দৃশ্য দেখবেন, তা একটি টাইম-ল্যাপ ভিডিওতে ধরে রাখবেন।

    টাইম-ল্যাপ ভিডিও হলো এমন একটি ভিডিও, যা সময়কে দ্রুততর গতিতে দেখায়। এতে দীর্ঘ সময়ের ঘটনা যেমন ঘণ্টা বা দিনের পরিবর্তন কয়েক মিনিট বা সেকেন্ডে দেখানো যায়। উদাহরণস্বরূপ, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, বৃষ্টি বা শহরের ব্যস্ততা এক ঝলকে দেখা।

    আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে মোট তিনটি মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নেওয়া এবং মঙ্গলে পাড়ি দেওয়া। এ প্রোগ্রামের প্রথম ধাপ, অর্থাৎ আর্টেমিস ১ উৎক্ষেপণ করা হয় ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর। এটা ছিল একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। ওই মিশনে কোনো মানুষ ছিলেন না। বরং মানুষের পরিবর্তে ছিল তিনটি পুতুল।

    আর্টেমিসের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পৌঁছাবে। অনাবিষ্কৃত অনেক এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে।
    লেকিশা হকিন্স, উপপ্রশাসক, নাসা

    পরীক্ষামূলকভাবে পুতুলগুলোকে পাঠানো হয়েছিল। আর্টেমিস ২ মিশনও অনেকটা আর্টেমিস ১ মিশনের মতোই সম্পন্ন হবে। শুধু পুতুলের পরিবর্তে নভোযানে থাকবেন চার নভোচারী। ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করবে আর্টেমিস ৩। আর্টেমিস ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। ইতিমধ্যে অবতরণের সম্ভাব্য ১৩টি স্থানের নামও প্রকাশ করেছে নাসা।

    চাঁদের এই অবস্থান পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রকৌশলীদের তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত প্রস্তাবিত অবতরণ অঞ্চল হচ্ছে ক্যাবিউস বিয়ের কাছের শিখর, হাওর্থ, ম্যালাপার্ট ম্যাসিফ, মন্স মাউটন মালভূমি, মনস মাউটন, নোবিল রিম ১, নোবিল রিম ২, ডি গের্লাচে রিম ২ ও স্লেটার প্লেইন।

    গ্রাফিক্স: প্রথম আলো

    নাসা জানিয়েছে, স্থানগুলো পাথুরে। এসব এলাকা থেকে চন্দ্রসম্পদ ও সৌরজগতের বিস্তৃত ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লাভের সুযোগ আছে। মনুষ্যবাহী অভিযানের মাধ্যমে অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। এ এলাকা স্থায়ীভাবে অন্ধকার অঞ্চল, যেখানে পানির উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    নাসার বিজ্ঞানী লেকিশার ভাষ্য, আর্টেমিসের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পৌঁছাবে। অনাবিষ্কৃত অনেক এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ থাকবে। নতুন নির্বাচিত চন্দ্র এলাকা দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত। এসব এলাকায় নিরাপদে অবতরণ করার সুযোগ আছে। অভিযাত্রীরা সেখানে নতুন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।

    বিজ্ঞানী সারাহ নোবেল বলেন, অ্যাপোলো অভিযানের সময় যেখানে অবতরণ করা হয়, তার চেয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ দেখা যায়। এ এলাকায় চাঁদের প্রাচীনতম ভূখণ্ড রয়েছে। এখানে ঠান্ডা ছায়াযুক্ত অঞ্চলে পানি ও অন্যান্য যৌগ থাকতে পারে। দক্ষিণ মেরুতে এসব স্থান নির্ধারণ করতে নাসার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু বিশ্লেষণ করেছে।

    নভোচারী কারা-

    চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণের জন্য নির্বাচিত ক্রুদের মধ্যে আছেন কমান্ডার রিড ওয়াইজম্যান, পাইলট ভিক্টর গ্লোভার, মিশন স্পেশালিস্ট ক্রিস্টিনা কোচ এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন। নভোচারীদের ঘুম, গতিবিধি, জৈবিক নমুনা এবং ফ্লাইটের প্রভাব শরীরে কেমন হচ্ছে, তা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

    মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন রিড ওয়াইজম্যানের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৬৫ দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে। আর্টেমিস ২ মিশনে তিনি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন।

    আরেক মার্কিন নভোচারী ভিক্টর গ্লোভার আর্টেমিস ২ মিশনে অরিয়ন নভোযানের পাইলটের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের প্রথম পাইলট ছিলেন। তাঁরও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৬৮ দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। এবার যাচ্ছেন চন্দ্রাভিযানে।

    আর্টেমিস ২–এর নভোচারীরা
    আর্টেমিস ২–এর নভোচারীরা। ছবি: নাসার সৌজন্যে

    এই মিশনের একমাত্র নারী নভোচারী ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচ। ২০১৯ সালে প্রথম নারী হিসেবে জেসিকা মেয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে স্পেসওয়াক করার রেকর্ড গড়েন। নারীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি ৩২৮ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থেকেছেন। এ মিশনে তিনি থাকবেন মিশন-বিশেষজ্ঞ হিসেবে।

    চতুর্থ নভোচারী জেরেমি হ্যানসেন কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি থেকে মনোনীত হয়েছেন। তিনিই থাকবেন মিশন-বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির ফাইটার উড়োজাহাজের পাইলট ছিলেন। প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাবেন তিনি।

    সব মিলিয়ে এই চার নভোচারীর অভিযান ১০ দিনের। নাসা জানিয়েছে, এই মিশনের চার নভোচারী পৃথিবী থেকে আগের যেকোনো মানুষের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দূরে যেতে পারেন। আর্টেমিস ২ মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ মিশনের ওপরই নির্ভর করবে আর্টেমিস ৩ মিশনের যাত্রা।

    আর্টেমিস ৪–এর লক্ষ্য-

    নাসা চাঁদে আরও অন্তত একটি মিশন, অর্থাৎ আর্টেমিস ৪ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যার উদ্দেশ্য হলো একটি মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করা, যা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে।

    এই স্থাপনার কাজ হবে ভবিষ্যতে চাঁদে অবতরণকে সহায়তা করা এবং নভোচারীদের মঙ্গলে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি প্রদর্শন করা, যা সম্ভবত ২০৩০-এর দশক বা তার পরেও হতে পারে।

    চাঁদ
    চাঁদ। ছবি: রয়টার্স

    চাঁদ নিয়ে কেন আগ্রহ-বিশ্বজুড়ে বিরল খনিজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাঁদে নানা রকম বিরল খনিজ বিদ্যমান। চাঁদের সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন দেশের আগ্রহ বাড়ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ সংরক্ষিত রয়েছে। সেখানেই আর্টেমিস ৩-এর ক্রুরা অবতরণ করবেন।

    এখানেই ভবিষ্যতে বসতি স্থাপন এবং মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে রকেট জ্বালানি উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে হিসেবে দেখা হচ্ছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো এই সম্পদ অন্বেষণ ও ব্যবহার করতে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।

    চাঁদের উদ্দেশে ছুটে চলেছে চন্দ্র অভিযানে ব্যবহৃত যাত্রীবিহীন রকেট আর্টেমিস ১। প্রায় ২৬ দিনের এ মিশনে চাঁদের দূর প্রান্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে। ছবি : এএফপি

    নানা চ্যালেঞ্জ-

    আর্টেমিস ২-এর মিশন ইউরোপের মহাকাশ শিল্পের জন্যও একটি পরীক্ষা। ওরিয়ন সার্ভিস মডিউল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি নির্বাচিত ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো তৈরি করেছে। এটি বাতাস, পানি, বিদ্যুৎ, প্রপালশন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যদি আর্টেমিস ২ সফল হয়, তবে নাসার সর্বশেষ ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭ চন্দ্রাভিযানের ৫৪ বছর পর মানুষ আবার চাঁদের মাটিতে পা রাখবে।

    নাসাকে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আর্টেমিস ২-এর উৎক্ষেপণ ইতিমধ্যেই দুবার স্থগিত করতে হয়েছে। তাই আর্টেমিস ৩ মিশনের সময়কাল ২০২৭ সাল কিংবা ২০২৮, এমনকি ২০৩০-এর পর্যন্ত লাগতে পারে। এ সময় পর্যন্ত চীনের নভোচারীরাও চাঁদে পা ফেলতে পারে।

    মূল চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো স্টারশিপ রকেট, যা মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান মাস্কের স্পেসএক্স তৈরি করছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইলন মাস্কের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। সেটি একটি দুশ্চিন্তার কারণ।

    আর্টেমিস ৩-এর নভোচারীরা আর্টেমিস ২-এর মতো রকেট ও ক্যাপসুল কনফিগারেশন ব্যবহার করে চাঁদে যাবেন। কিন্তু চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য তাঁরা স্টারশিপ ব্যবহার করবেন। গত আগস্টে রকেটটি সফলভাবে ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে। এর আগে ৯ বারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।

    স্পেসএক্সের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিল চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এর মধ্যে কক্ষপথে আবার জ্বালানি সরবরাহের মতো বিষয় যুক্ত রয়েছে।

    তথ্যসূত্র: বিবিসি, এল পাইস ও লাইভ সায়েন্স/ প্রথম আলোর প্রতিবেদন

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মোস্ট ফিচার

    বিশ্বের শীর্ষ প্রকৃতিপ্রেমী দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশ

    November 4, 2025
    আন্তর্জাতিক

    আল-কায়েদাপন্থী সংগঠনের অগ্রগতি: মালির ভবিষ্যৎ কী হবে?

    November 4, 2025
    আন্তর্জাতিক

    ফাঁদে পড়ে রাশিয়ার যুদ্ধে বাংলাদেশিরা

    November 4, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.