আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল আতলেতিকো মাদ্রিদ ছেড়ে এক বছরের জন্য লোন চুক্তিতে যুক্ত হয়েছেন মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে। বৃহস্পতিবার ক্লাব অ্যাটলাসের বিপক্ষে লিগস কাপের ম্যাচ দিয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে মায়ামি, যা ডি পলের চোখে বড় সাফল্যের সূচনা। আর জাতীয় দলের সতীর্থকে পাশে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন লিওনেল মেসি।
চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে মেসির দল। তেলাস্কো সেগোভিয়া ও মার্সেলো ভাইগান্টের করা দুটি গোলে জয় নিশ্চিত করে ইন্টার মায়ামি। দুটি গোলেই সহায়তা করেন মেসি। আগের ম্যাচে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা ডি পল ও মেসির মাঠে ফেরাই যেন বদলে দিয়েছে দলের রূপ।
ম্যাচ শেষে ডি পল বলেন, ‘সতীর্থদের আন্তরিকতা ও দলের পরিবেশ অসাধারণ। অনেকের সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল, তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। আমি চেষ্টা করছি আমার পজিশন থেকে সর্বোচ্চটা দিতে। এখানে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। আশা করি, আজকের জয় হবে আরো অনেক জয়ের সূচনা।’
জাতীয় দলের হয়ে বহু স্মৃতি ভাগাভাগি করা মেসির সঙ্গে এবার ক্লাবেও একসঙ্গে খেলতে পারা ডি পলের জন্য বাড়তি গর্বের। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করতে চাই। সে সবার সেরা। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু জিতেছি জাতীয় দলে। এবার ক্লাবেও তার পাশে থাকতে পারা দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি এবং আশা করছি আমরা একসঙ্গে আরও অনেক ট্রফি জিতব।’
মেসিও কম প্রশংসা করেননি তার দীর্ঘদিনের সতীর্থের। ডি পলের আগমনে দলের শক্তি বেড়েছে বলে উল্লেখ করে মেসি বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরেই একসঙ্গে খেলছি। তার উপস্থিতি দলের মান বাড়িয়েছে। সে প্রচণ্ড উৎসাহ নিয়ে এসেছে। আজকের ম্যাচেও সামান্য অনুশীলনের পরেও পুরো সময় দৌড়ে খেলেছে। এই গরম আর আর্দ্রতার মধ্যে সেটা সহজ নয়। কিন্তু সে দুর্দান্ত খেলেছে, পুরো দলই লড়েছে এবং আমরা গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েছি।’
দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও নতুন সংযোজন নিয়ে আশাবাদী মেসি শিরোপা জয়ের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী। তার ভাষায়, ‘আমরা লিগে শীর্ষ অবস্থানের জন্য লড়ছি। ক্লাব বিশ্বকাপেও ভালো খেলেছি। দলে এখন রদ্রিগোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এসেছে। লিগস কাপ প্রতিযোগিতা আমাদের ভালো লাগে কারণ এটি দ্রুত শেষ হয়, ট্রফি জেতার সুযোগ থাকে এবং কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়। প্রতিবছর যেভাবে লড়ি, এবারও সে লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।’

