কিছু খেলোয়াড়দের ক্যাম্পের খরচ ফেডারেশন দিচ্ছে, কেউ নিজ পকেট থেকে দিচ্ছে, আবার কেউ ধার করে চালাচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থ না পেলে ক্যাম্প দীর্ঘ সময় চালানো সম্ভব নয়।
বিদেশি কোচদের ভাড়া দেওয়াও ফেডারেশনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী অক্টোবর বাহরাইনে এশিয়ান যুব গেমস, নভেম্বরে সৌদি আরবে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এসএ গেমস অনুষ্ঠিত হবে।
এই তিনটি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ১০ জুলাই থেকে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ৫২ জন কুস্তিগীরের ক্যাম্প চলছে। দুই মাসে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে এবং আপাতত ফেডারেশনের ফান্ড থেকে খরচ চালানো হচ্ছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন বলেন- ‘খুব দ্রুত ক্যাম্পের জন্য টাকা না পেলে সমস্যা হবে। ইসলামিক সলিডারিটি ও এসএ গেমস সামনে রেখে একই ভেন্যুতে ৪৯ জনকে নিয়ে ক্যাম্প চলছে উশুর। কর্মকর্তারা নিজেদের পকেট থেকে খরচ চালাচ্ছেন। বিদেশি দুই কোচের বিমান ভাড়া ও পকেট মানিও দিতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’
সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান যোগ করেন, ‘নিজেদের পকেট থেকে খরচ চালিয়ে আসছি। আর পারছি না। ক্রীড়া পরিষদ বলেছে, এ মাসেই টাকা দেবে। যদি না দেয়, হয়তো বাড়ি বন্ধক রাখতে হবে।’
ব্যাডমিন্টনের জন্য ২৬ জনকে নিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ক্যাম্প চলছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা এক কোচের মাসিক বেতন তিন হাজার মার্কিন ডলার বাকি। এক কোচের জন্য মোট খরচ পাঁচ লাখ টাকা।
সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির বলেন, ‘এক কোচের জন্য বাজেটই মাসিক পাঁচ লাখ টাকা। এখনো টাকা পাইনি। যদি এ মাসে টাকা না পাই, কোচকে বিদায় দিতে হবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) মোহাম্মদ আমিনুল এহসান আশা প্রকাশ করেছেন যে সংকট শিগগিরই কেটে যাবে। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনগুলোকে ক্যাম্প চালানোর টাকা দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। ক্রীড়া পরিষদে নতুন নির্বাহী পরিচালক যোগ দিয়েছেন। কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে আশা করি এই সপ্তাহে সমস্যার সমাধান হবে। আজও বিষয়টি নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে।’

