১৮টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচের পর অবশেষে ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। সর্বশেষ ৮ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলেছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্তরা। এরপর টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে কেটেছে শুধু সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ব্যস্ততায়। দীর্ঘ এই বিরতির পর আজ (বুধবার) থেকে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
এই সিরিজ বাংলাদেশের জন্য কেবল ফরম্যাটে ফেরা নয়, র্যাঙ্কিংয়ের লড়াইও বটে। বর্তমানে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ নম্বরে, আফগানিস্তান রয়েছে সপ্তম স্থানে। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে সেরা আট দল—তাই এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ এখন টাইগারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন, নিয়মিত ওয়ানডে না খেলায় তাল কেটে গেছে দলের। তিনি বলেন,
“ওয়ানডে ম্যাচগুলো আমরা অনেক গ্যাপ দিয়ে খেলেছি, ব্যাক টু ব্যাক খেলার সুযোগ খুব কমই পেয়েছি। এতে ছন্দে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও সবাই চেষ্টা করছি। দেশ থেকেই আমরা প্র্যাকটিস করে এসেছি, সবাই জানি এই সিরিজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
মিরাজের মতে, এবার আর একজন বা দুজনের পারফরম্যান্সে কিছু হবে না—দলগত সাফল্যই মূল চাবিকাঠি। তাঁর ভাষায়,
“ওয়ানডেতে অনেকদিন বিরতি ছিল, তাই ব্যাটাররা এখন পরিকল্পনা করছে কীভাবে পুরো ৫০ ওভার ধরে ইনিংস গড়া যায়। মিডল ও টপ অর্ডার ব্যাটারদের দায়িত্ব আরও বাড়ছে। আমরা দল হিসেবে ফিরে আসতে চাই। শুধু একজন বা দুজন নয়, ১১ জনের সবার পারফরম্যান্সই এখানে জরুরি।”
তিনি আরও বলেন,
“নতুন কিছু খেলোয়াড় আছে, যেমন সাইফ হাসান—এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছে, সেটা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। এখন যারা দলে এসেছে, তারা সবাই রান করার জন্য উদগ্রীব। সেটা দলের জন্যও ভালো।”
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান এর আগে ১৯টি ওয়ানডে খেলেছে, যেখানে ১১ বার জয় পেয়েছে টাইগাররা এবং ৮ বার জয়ী হয়েছে আফগানরা। নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও এগিয়ে বাংলাদেশ—৬ জয়ে আফগানদের ৩।
আজকের ম্যাচসহ তিনটি ওয়ানডেই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়, আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।