ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও, আজকের ম্যাচে এখনো এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। একই পিচে খেলা হলেও—যেখানে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানরা হিমশিম খেয়েছিলেন—আজ সেটি একেবারে ভিন্ন রূপ নিল। মাঝে মাঝে বল ঘুরেছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে ব্যাটে বেশ সুন্দরভাবে এসেছে বল, আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার।
শুরুর দিকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন সাইফ হাসান। অন্যপ্রান্তে সৌম্যও থেমে থাকেননি—বাউন্ডারি আর ছক্কার বন্যা বইয়ে দু’জনে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক পার্টনারশিপ। ২৫ ওভারের একটু বেশি সময়েই দু’জন মিলে তুলে ফেলেন ১৭৬ রানের জুটি—বাংলাদেশের ইনিংসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায়।
দুঃখের বিষয়, দুজনই ব্যক্তিগত শতকের দোরগোড়ায় গিয়েও থেমে যান। সাইফ ৮০ রানে, আর সৌম্য ৯১ রানে আউট হন। তবুও তাদের গড়া ভিত্তি দলের রানকে তিনশোর কাছাকাছি পৌঁছে দেয়।
ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে ব্যাটাররা কিছুটা ধীর হয়ে পড়েছিলেন। উইকেটও পড়তে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। তবে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৪ রানের ইনিংস এবং শেষ দিকে কিছু ঝড়ো ব্যাটিং দলকে নিয়ে যায় ২৯৬ রানের নিরাপদ স্কোরে—যা সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে কল্পনাতীত ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন আকিল হোসেন। পাশাপাশি পার্ট-টাইম স্পিনার অ্যালিক আথানাজও বল হাতে নজর কাড়েন। কিন্তু এত বড় রান তাড়া করতে হলে এখন তাদের ব্যাটারদেরকেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের সামনে তারা কতটা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবে? কারণ দেশের মাটিতে এই স্পিনাররাই তো টাইগারদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
এখন দেখা যাক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা চাপ সামলে সিরিজে ফিরতে পারে কি না—নাকি ঢাকার রাতটা হয়ে উঠবে বাংলাদেশের আরেকটি উদযাপনের গল্প।

