চট্টগ্রামে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারের আগেই মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। শুরুটা ছিল দারুণ, চার ওভারেই স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৩৮। কিন্তু ওই ওভারেই টিম টেক্টরকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। এরপর ষষ্ঠ ওভারে হ্যারি টেক্টরকেও তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। পাওয়ার প্লের শেষে ২ উইকেটে ৫১ রান থাকলেও এরপর থেকেই ধস নামতে শুরু করে।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই মেহেদী হাসানের বলে এলবিডাব্লিউ হন লরকান টাকার। আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও বাংলাদেশের রিভিউতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। এরপর রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে আরও বিপর্যয়। ক্যাম্ফারকে বোল্ড করার পর স্টার্লিংকে বাউন্ডারির ঠিক আগে ক্যাচ দেন তিনি। স্টার্লিং ২৭ বলে ৩৮ রান করলেও দলের রানের চাকা থেমে যায়। কিছুক্ষণ পর ডেলানিকেও ফেরান রিশাদ। সেই জুটি ভাঙতেই ৯৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে আইরিশদের।
শেষদিকে জর্জ ডকরেল কিছুটা চেষ্টা করলেও তাকে থামান শরিফুল। এর আগে মোস্তাফিজ এক ওভারে অ্যাডায়ার ও হামফ্রিজকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডকে পুরোপুরি চাপে ফেলেন। ডকরেলের ২৩ বলে ১৯ রানের ইনিংসও বড় স্কোর এনে দিতে পারেনি দলকে। শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে থেমে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
সিরিজ জিততে এখন ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করবে বাংলাদেশ।

