দশ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে থেকেই ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের অবসায়ন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ফান্ডটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর, আর এর আগের দিন—২২ ডিসেম্বর—স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শেষ দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড বিষয়টি ডিএসই এবং সিএসই-কে অবহিত করেছে।
২০১৫ সালে বাজারে যাত্রা শুরু করা এই ক্লোজ-এন্ড ফান্ডটি মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময় শেষে অবসায়নের আওতায় পড়ছে। নির্ধারিত রেকর্ড ডে ২৩ ডিসেম্বর—সেদিন যার হাতে ইউনিট থাকবে, অবসায়ন শেষে প্রাপ্য অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে তারাই বিবেচনায় থাকবে।
ফান্ডটির অবসায়ন-সংক্রান্ত প্রায় সব আপডেটই বিনিয়োগকারীদের মূল্যসংবেদনশীল তথ্য (প্রাইস সেনসিটিভ ইনফরমেশন) হিসেবে এক্সচেঞ্জে প্রকাশ করা হবে। ট্রাস্টি বোর্ড জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি বিএসইসি অনুমোদিত নিয়ম মেনেই সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে ফান্ডটি বেমেয়াদি করার বিষয়ে ইউনিটহোল্ডারদের মতামত নিতে ২৯ অক্টোবর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ইউনিটহোল্ডারদের ব্যালট ভোটে দেখা যায়—২১.৯৪% রূপান্তরের পক্ষে থাকলেও বেশিরভাগ, অর্থাৎ ৭৮.০৬%, বিপক্ষে অবস্থান নেন। ফলে সিদ্ধান্ত হয়, ফান্ডটি আর চলমান কাঠামোতে থাকবে না; বরং সময়মতো অবসায়ন করা হবে।
সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪–২৫ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (অক্টোবর–জুন) ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে এই লোকসান ছিল আরও বেশি—১ টাকা ৬৯ পয়সা। শুধু তৃতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল–জুন) ইউনিটপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৫৫ পয়সায়, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৭৭ পয়সা।
৩০ জুন ২০২৫ শেষে ইউনিটপ্রতি এনএভি (ক্রয়মূল্য অনুযায়ী) ছিল ১০ টাকা; বাজারমূল্যে যা ৯ টাকা ৬৫ পয়সা।
গত ২০২৩–২৪ হিসাব বছরে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি। ওই বছরে ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা—যেখানে আগের বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শেষে এনএভিপিইউ ছিল ক্রয়মূল্যে ৯ টাকা ৬২ পয়সা এবং বাজারমূল্যে ৯ টাকা ৬৫ পয়সা।
ফান্ডটি অবসায়ন হলে কত টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং কবে বিতরণ শুরু হবে—এসব বিষয়ের আপডেট আগামী সময়ে জানানো হবে।

