গাজায় হামাস কর্মকর্তাকে টার্গেট করতে এবং জিম্মিদের খুঁজে বের করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। নিউইয়র্ক টাইমস ও জেরুজালেম পোস্টের খবরে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০—যেটি ইসরাইলের প্রযুক্তিভিত্তিক সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে—তারা উত্তর গাজার হামাস কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারিকে সনাক্ত ও হত্যা করতে এআই প্রযুক্তির সহায়তা নেয়। বিয়ারি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
এআই প্রযুক্তির সাহায্যে বিয়ারির ফোনকল বিশ্লেষণ করে তাকে শনাক্ত করা হয়। এরপরই নির্ধারিত হামলায় তিনি নিহত হন। ওই অভিযানে আরও ৫০ জন হামাস যোদ্ধাও মারা যায় বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইডিএফ ও ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জিম্মিদের অবস্থান নির্ধারণে অডিওভিত্তিক এআই টুল ব্যবহার করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রযুক্তি আরও উন্নত করা হয়।
এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারে অংশ নিয়েছেন গুগল ও মাইক্রোসফটের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আইডিএফ রিজার্ভ সদস্যরা। যদিও গুগল জানিয়েছে, এ ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ডে তাদের কোম্পানির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
অন্যদিকে, প্রযুক্তি ব্যবহারে বেসামরিক হতাহতের আশঙ্কা এবং ভুল শনাক্তকরণ নিয়ে উঠেছে গুরুতর নৈতিক প্রশ্ন। হোলন ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইন রেসপন্সিবল এআই-এর প্রধান হাদাস লরবার বলেন, “এই প্রযুক্তি ব্যবহার যুদ্ধ নৈতিকতার গভীর প্রশ্ন তোলে।”
আইডিএফের মুখপাত্র দাবি করেছেন, তাদের বাহিনী সবসময় আইনসম্মত ও দায়িত্বশীলভাবে ডেটা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে।
এআই প্রযুক্তির এই ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। যুদ্ধের মাঠে এআই ব্যবহারের ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ।