মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধান মানা তার দায়িত্ব কি না—সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
রবিবার এনবিসি নিউজে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়। সেখানে ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে জিজ্ঞেস করা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধান রক্ষা করা তার দায়িত্ব কি না। তিনি বলেন, “আমি জানি না।”
এরপর আরেকটি প্রশ্ন আসে—মার্কিন নাগরিক ও অ-নাগরিক সবার কি সংবিধান অনুযায়ী ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত? ট্রাম্প আবারও একই উত্তর দেন, “আমি আইনজীবী না। আমি জানি না।”
এই মন্তব্যগুলো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, দেশের সর্বোচ্চ পদে থেকে এমন মন্তব্য সংবিধানের গুরুত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কিছু অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদন নেয়নি। যা অনেক বিশেষজ্ঞের মতে সরাসরি মার্কিন আইনের লঙ্ঘন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও জানান, তিনি তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচনের কথা ভাবছেন না। তবে আগের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা দিয়ে তা সম্ভব হতে পারে।
তবে মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনী স্পষ্টভাবে বলছে, কেউ দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এ নিয়ম পরিবর্তনে প্রয়োজন কংগ্রেসে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন। পাশাপাশি ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে অন্তত ৩৮টির অনুমোদন দরকার।
ট্রাম্প বলেন, “আমি তৃতীয় মেয়াদের কথা ভাবছি না। বরং চাই, সফল চার বছর শেষ করে নেতৃত্ব একজন দুর্দান্ত রিপাবলিকান নেতার হাতে তুলে দিতে।”
এই সময় তিনি সম্ভাব্য উত্তরসূরির নামও বলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “আমাদের দলে অনেক দক্ষ ও যোগ্য নেতা আছেন।”