রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আশার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া এই ফোনালাপকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছে ক্রেমলিন।
রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, আলোচনায় সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ফোনালাপের উদ্দেশ্য ছিল ইস্তাম্বুল বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা ও দুই দেশের ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক যোগাযোগের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ।
পেসকভ বলেন, “ফোনালাপটি ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা শিগগিরই একটি পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি প্রকাশ করব।”
এ সময় পেসকভ পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর- যেখানে বলা হয়েছিল, মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফ মে মাসে রাশিয়া সফর করবেন- তাকে “ভুল তথ্য” বলে নাকচ করে দেন।
পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল ১৮ মার্চ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরের সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে আগ্রহী। হোয়াইট হাউসও দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইউক্রেন সংকট প্রসঙ্গে পেসকভ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা যদি বাস্তব শান্তি বয়ে আনে, তবে রাশিয়া তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।”
তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের আগেই রাশিয়া কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান চেয়েছিল কিন্তু ন্যাটো ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তি সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অভাবেই রাশিয়া সামরিক অভিযানের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়া এমন একটি চুক্তির প্রস্তাব দেয় যেখানে ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়- এমন নিশ্চয়তা চাওয়া হয়। তবে পশ্চিমা দেশগুলো তা প্রত্যাখ্যান করে।