জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা দখলের পরিকল্পনা বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে এবং এর ফলে বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে টুর্ক বলেন, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সেই নির্দেশনারও পরিপন্থী, যেখানে বলা হয়েছিল- ইসরায়েলকে দখলদারিত্ব যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে হবে।
টুর্ক বলেন, “এই পরিকল্পনা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে উপেক্ষা করে।”
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া সব তথ্য-প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, হত্যাকাণ্ড, অযথা ধ্বংসযজ্ঞ এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হবে। ফলকার টুর্ক স্পষ্টভাবে বলেন, “গাজায় যুদ্ধ এখনই বন্ধ হতে হবে। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ তৈরি করতে হবে।”
মানবাধিকার হাইকমিশনার ইসরায়েল সরকারকে সামরিক অভিযানের পরিবর্তে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে পূর্ণ ও বাধাহীন প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের উচিত গাজার বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া।
এ ছাড়া তিনি গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আটক সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে ইসরায়েলের হাতে আটক সব ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
ফলকার টুর্কের ভাষায়, “যুদ্ধ আরো তীব্র করার বদলে ইসরায়েলের উচিত গাজার সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে এর পরিণতি হবে শুধু আরও ভোগান্তি ও ধ্বংস।”

