Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sat, Nov 8, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » নেপালের সিংহদরবারে অগ্নিসংযোগ: পুড়ে ছাই বাংলা ভাষার প্রাচীনতম ইতিহাস!
    আন্তর্জাতিক

    নেপালের সিংহদরবারে অগ্নিসংযোগ: পুড়ে ছাই বাংলা ভাষার প্রাচীনতম ইতিহাস!

    সম্পাদকীয়September 11, 2025Updated:September 11, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    নেপালের সিংহদরবার প্রাঙ্গণে আগুন জ্বলছে। এখানেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় অবস্থিত। ছবি: রয়টার্স
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    নেপালের রাজপ্রাসাদ ‘সিংহদরবার’-এর লাইব্রেরিতে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়েছে বহু শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস, সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ধারণা করা হচ্ছে, এই আগুন কোনো কিশোর গোষ্ঠী, আত্মপরিচয়বিহীন তথাকথিত “Generation Zombie” বা জেন জি-র বেপরোয়া কাজের ফল। তবে সবচেয়ে ভয়ংকর আশঙ্কার কথা উঠেছে—এই আগুনে হয়তো হারিয়ে গেছে ‘বাংলা ভাষার আদিতম নিদর্শন’ “চর্যাপদ” -এর মূল পাণ্ডুলিপির অস্তিত্ব!

    চর্যাপদের আদি নিবাস: নেপালই সাক্ষী

    বিশ শতকের শুরুতে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তিনবার নেপাল ও তিব্বত ভ্রমণ করে সিংহদরবারের রাজপাঠাগারে খুঁজে পান “চর্যাচর্যবিনিশ্চয়”– এর পুঁথি। চর্যাপদ বাংলার আদিমতম কাব্য, যা প্রমাণ করে এই ভাষার শিকড় হাজার বছরের পুরনো। ধারণা করা হয়, জাতিগত সহিংসতা ও ধর্মীয় নিপীড়নের সময় এদেশের বিদ্বান, বৌদ্ধ সাধুরা এইসব রত্ন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন হিমালয়ের পাদদেশে।
    সেই থেকেই এই রত্নরাজি সিংহদরবারের সুরক্ষিত দেয়ালে ছিল যুগের পর যুগ। ‘অথচ আজ? হয়তো আগুনে ছাই হয়ে গেল কালের সঞ্চয়!’

    লাইব্রেরি-মিউজিয়াম: যুদ্ধের প্রথম শিকার?

    ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—প্রথমে মরে বই, পরে মানুষ। আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার দগ্ধ হয়েছিল ৪৮ খ্রিস্টপূর্বে—সাথে শেষ হয়েছিল বিশ্বের প্রাচীনতম জ্ঞানভাণ্ডারের একটি। চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের সেনারা ধ্বংস করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের বহু লাইব্রেরি—বিশেষত বাগদাদের ‘Bayt al-Hikma’। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী পোল্যান্ডের জাতীয় লাইব্রেরি ধ্বংস করেছিল, সাড়ে তিন লাখ পাণ্ডুলিপি হারিয়ে গিয়েছিল চিরতরে।

    তবুও কিছু রাষ্ট্র শিখেছে। নেপোলিয়ন যুদ্ধ করলেও শিল্পকর্ম ও লাইব্রেরি রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশরা উপনিবেশ গড়লেও বই নষ্ট করেনি বরং নিয়ে গেছে, ক্যাটালগ করেছে, জাদুঘরে ঠাঁই দিয়েছে।

    জেনারেশন জোম্বি কি তবে—নতুন হালাকু খান?

    বর্তমান প্রজন্মের একাংশ, যাদের বলা হচ্ছে ‘জেনারেশন জি’ বা বিদ্রুপে ‘জেনারেশন জোম্বি’, তারা যেন কেবল চায় “ডিলিট- রিসেট” করে দিতে সবকিছু—ইতিহাস, সাহিত্য, মূল্যবোধ। তাদের দৃষ্টিতে লাইব্রেরি বোঝায় ধুলো জমে থাকা বইয়ের স্তূপ, আর ইতিহাস মানেই পুরনো মানুষের বকবকানি।

    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- ‘এই আগুনে কার লাভ, কার ক্ষতি?’

    লাভবান কারা?

    • যারা কট্টর মতাদর্শবাদীরা ইতিহাসের বিকল্প ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে সুবিধা পায়।
    • যারা মনে করে তথ্য-মুক্ত পৃথিবীতে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
    • সাংস্কৃতিক উপনিবেশ স্থাপন সহজ হয় যখন স্থানীয় ইতিহাস নাই হয়ে যায়।
    • নিজেদের মনগড়া মতাদর্শ এবং একমুখী বিদ্যা গিলে খাইয়ে দেয়ার রাস্তা পরিস্কার রাখা।
    • বিতর্কিত মনোভাব ধ্বংস করা।
    • সৃষ্টিশীলতাকে বাধা দেয়া।

    বিপরীতে ক্ষতি?

    • ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাসহীন হয়ে পড়ে।
    • ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির শিকড় কেটে ছাটাই করা হয়।
    • বৈচিত্র্য হারিয়ে একঘেয়ে বৈশ্বিক একরূপতা সৃষ্টি হয়।
    • নতুনত্বের পদেপদে বিষাক্ত কাঁটা।

    একটি সতর্কতা, একটি প্রতিজ্ঞা

    একটি প্রজন্মের ভুলে যদি সহস্র বছরের ঐতিহ্য পুড়ে ছাই হয়, তবে দায় শুধু তাদের নয়—আমাদেরও। তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ইতিহাস রক্ষা করার দায় আমরা এড়াতে পারি না। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীরা যেমন খুঁজে এনেছিলেন চর্যাপদ, তেমনই আমাদের খুঁজে আনতে হবে ভবিষ্যতের চর্যাপদ—আবার, আবার, যতবার দরকার।

    শেষ কথা: ইতিহাস যখন পুড়ে যায়, সভ্যতা পেছনে হটে

    লাইব্রেরি, মিউজিয়াম, স্থাপত্য—এসবের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে জাতির পরিচয়, সত্ত্বা। হালাকু খানদের আগুনে কেবলই কাগজ পুড়ে যায় না, পুড়ে যায় আত্মপরিচয়ের শিকড়।

    আমরা যদি এই আগুনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম যখন জিজ্ঞাসা করবে—“আমাদের ইতিহাস কোথায়?”
    তখন আমাদের কোনো উত্তর থাকবে না।

    পৃথিবীর যেখানেই ইতিহাস, ঐতিহ্য, মিউজিয়াম, সাহিত্য ধ্বংসের খেলা চলে সেখানেই আমাদের আওয়াজ তুলে প্রতিবাদী ভূমিকায় দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ করতে হবে।

    লেখক: মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    আন্তর্জাতিক

    নিউইয়র্ক দখলে ট্রাম্পের শক্তি পরীক্ষায় নামছেন স্টেফানিক

    November 8, 2025
    অপরাধ

    গুমের সংস্কৃতি ভাঙতে আসছে নতুন অধ্যাদেশ

    November 8, 2025
    আন্তর্জাতিক

    ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ হলেন পাঁচ শিশু

    November 8, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.