ইসরায়েলে মন্ত্রিসভার ওই অনুমোদনের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর রয়েছে—এর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে ২০০ জন সেনা পাঠাচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারের নেতৃত্বে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড একটি নাগরিক-সামরিক সমন্বয়কেন্দ্র স্থাপন করবে, যা নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার সমন্বয় করবে।
ওই সূত্রে বলা হয়েছে, অ্যাডমিরাল কুপারের অধীনে থাকা মার্কিন সেনারা অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সেনাসদস্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবেন। মিসর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারাও যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে অংশ নেবে; তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা গাজায় প্রবেশ করবে না।
প্রথম দল—প্রায় ২০০ জনের একটি দল—ইসরায়েলে পৌঁছে গেছে এবং সপ্তাহ শেষের আগেই আরো সৈন্য এসে নতুন সমন্বয়কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করবে। এই সৈন্যদলের মধ্যে মূলত সামরিক পরিকল্পনাকারী, লজিস্টিক, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সহায়ক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।
এসব কেন্দ্রে সেনা, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ত্রাণকর্মীরা একসঙ্গে কাজ করে মানবিক সহায়তা প্রদান, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি জিম্মি ও বন্দি বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তবে পরবর্তী ধাপে ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে; তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি এখনও হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শনিবার ভোরের দিকে কার্যকর হওয়ার কথা আশা করা হচ্ছে। গাজার সেনা প্রত্যাহারের প্রথম ধাপে প্রত্যাহারের পরও গাজার ৫৩ শতাংশে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের (জীবিত ও মৃত) মুক্তি কার্যক্রম শুরু হবে; এরপর ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি প্রদান শুরু করবে।