চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে পুরস্কার দেওয়া হবে কি না—কেননা ট্রাম্প নিজেও প্রকাশ্যে বারবার নোবেল প্রাপ্তির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
পুরস্কার ঘোষণার পর এক সাংবাদিক নোবেল কমিটিকে জানতে চেয়েছেন, এমন সময় ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের কড়া প্রচারণা এবং বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে আসা চাপে কি তাদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়েছে কি না।
প্রতিউত্তরে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স জানান, “দীর্ঘ ইতিহাসে আমরা এ ধরনের প্রচারণা ও মিডিয়ার উত্তেজনা দেখেছি। নোবেল কমিটির কাছে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। কিন্তু নোবেল পুরস্কার নির্ধারিত হয় শুধুমাত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের ওপর এবং আলফ্রেড নোবেলের উইলের নির্দেশনা মেনে।”
এই মন্তব্যে কমিটি স্পষ্ট করেছেন যে কড়া রাজনৈতিক চাপ বা প্রচারণা তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে না; বরং পুরস্কারের মূল ভিত্তি হল নমিনি ব্যক্তির কার্যক্রম ও আলফ্রেড নোবেলের বিধান অনুসরণ।
এদিকে নিজের সাম্প্রতিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বব্যাপী আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন—তাই নোবেল প্রাপ্য তিনি। তিনি বক্তব্যে আরো বলেছেন, “ওবামা নোবেল পেয়েছেন কিছু না করে। ওবামা পুরস্কার পেয়েছিলেন, কিন্তু কেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। আমার কথা হচ্ছে—আমি আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি; এমন আগেও হয়নি। আমি বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছি।” ট্রাম্পের এই দাবি নোবেল জয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে করা কঠোর আশ্বাস হিসেবে ধরা হয়েছে।
নোবেল কমিটির বক্তব্য ও ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ার এই সংলাপটি দেখায়—নামজারি ও জনমত যতটা শক্তিশালী হোক না কেন, কমিটির শেষ সিদ্ধান্ত সবসময় পুরস্কারপ্রার্থীর কাজের ওপর ভিত্তি করে এবং আলফ্রেড নোবেলের উইলে নির্ধারিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হয়।