উত্তর কোরিয়ার সাবেক নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান এবং কিম পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিম ইয়ং নাম মারা গেছেন। ক্যান্সারজনিত জটিলতায় একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে সোমবার ৯৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ক্যান্সারের কারণে শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে কিম ইয়ং নামের মৃত্যু হয়।
কেসিএনএ বিবৃতিতে বলেছে, “কমরেড কিম ইয়ং নাম আমাদের দল ও দেশের ইতিহাসে অসামান্য অবদান রাখা এক পুরোনো প্রজন্মের বিপ্লবী ছিলেন। ৯৭ বছর বয়সে তিনি তার গৌরবময় জীবনযাত্রার সমাপ্তি ঘটালেন।”
এজেন্সিটি আরো জানায়, মঙ্গলবার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ব্যক্তিগতভাবে কিম ইয়ং নামের মরদেহের পাশে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং শোক প্রকাশ করেন। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কিম ইয়ং নাম উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশটির অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও কিম পরিবারনিষ্ঠ রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তার গভীর কণ্ঠে প্রচারণামূলক ভাষণ দেওয়া ছিল রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
প্রায়ই তাকে কিম জং উন এবং প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের পক্ষ থেকে বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যেত। ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রতি অনড় আনুগত্যের কারণেই তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বহাল ছিলেন, যদিও তিনি কিম পরিবারের সদস্য ছিলেন না।
১৯৯৮ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কিম ইয়ং নাম ছিলেন সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির সভাপতি, যা দেশটির আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধানের পদ হিসেবে বিবেচিত। তবে বাস্তব ক্ষমতা সবসময়ই কিম পরিবারের হাতেই ছিল—১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত।

