সুদানের সেনাবাহিনী-সমর্থিত কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসবে। চলমান এই যুদ্ধে দেশটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, যেখানে দুই বছরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু এবং লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।
সম্প্রতি সংঘাতটি সুদানের নতুন নতুন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দারফুরের আল-ফাশের শহরটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) দখলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য সংঘাতের মতোই, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এবার সুদানের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। এর আগে সেনাসমর্থিত কর্তৃপক্ষ একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, যেখানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ— উভয়কেই অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখার কথা ছিল।
এএফপি অনুসারে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাসমর্থিত এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদ আজ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে।’
এদিকে আল-ফাশের শহর থেকে পালিয়ে আসা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে ভয় ও সহিংসতার চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
৫৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, শহর ছেড়ে পালানোর সময় আরএসএফ যোদ্ধারা তাকে থামিয়ে তার সবকিছু কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ফোন, টাকা—সব দাবি করেছে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করেছে।’
তিনি আরো জানান, তাউইলার পথে যেতে গিয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে থাকা এক মৃতদেহ দেখেছেন, যা দেখে মনে হচ্ছিল কোনো বন্যপ্রাণী তা ছিঁড়ে খেয়েছে।
বর্তমানে আরএসএফ বাহিনী দারফুর দখলের পর কেন্দ্রীয় কর্ডোফান অঞ্চলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা যুদ্ধকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।

