তুরস্কে চলমান পাকিস্তান-আফগান শান্তি সংলাপের মধ্যেই সীমান্তে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘাতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী এবং ১ জন পুরুষ রয়েছেন। আহত ও নিহতরা সবাই আফগান নাগরিক।
আফগান সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সংঘাত মাত্র ১০–১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল এবং পাকিস্তানি বাহিনী হালকা ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক গত কয়েক বছরে তিক্ত হয়ে গেছে। মূলত পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং আফগান তালেবান সরকারের মাঝে সহযোগিতা ইস্যু দুই দেশের মধ্যে বিরোধের কারণ। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।
সীমান্তে গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানি বিমান অভিযান চালায়, যেখানে টিটিপির শীর্ষ নেতা নিহত হন। দুই দিন পর আফগান বাহিনী পাকিস্তানি চৌকিতে হামলা চালায় এবং পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়। সংঘাত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে। এর মধ্যে আফগান বাহিনীর ২০০ এবং পাকিস্তানি বাহিনীর ২৩ সদস্য নিহত হয়।
সামরিক সংঘাতের পর ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হয়। এরপর কাতারের দোহায় প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে সংলাপের স্থানান্তর করে তুরস্কের ইস্তানবুলে চলমান রাখা হয়। কিন্তু ইস্তানবুল সংলাপ চলাকালীন বৃহস্পতিবার ফের সীমান্তে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
আফগানিস্তানের তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ইসলামিক এমিরেত এই হামলার প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে শান্তি সংলাপকে সম্মানিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তান তথ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, “সীমান্তের ওপারে আফগানিস্তান থেকে প্রথম গুলি ছোড়া হয়েছিল এবং পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীলভাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।”

