যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শান্তি পরিকল্পনা ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মস্কোতে রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়া সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পুতিন হুঁশিয়ারি দেন, যদি ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় না দেয়, তাহলে একসময় পুরো ইউক্রেন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।
তিনি বলেন, “যদি কিয়েভ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে না চায় বা প্রত্যাখ্যান করে, তবে ইউক্রেন এবং তার মিত্ররা বুঝবেন যে পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহর কুপিয়ানস্ক আমাদের দখলে এসেছে এবং যুদ্ধবিরতি না হলে একসময় পুরো দেশ আমাদের কব্জায় আসবে।”
রাশিয়া ২০১৪ সালে কৃষ্ণ সাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে এবং ২০১৫ সালে বেলারুশের মিনস্কে স্বীকৃতির চুক্তি অনুসারে ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে গ্রহণ করিয়েছে। পরে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ চেষ্টার মাধ্যমে এ শর্ত পূরণ করেনি। এর পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়, যা প্রায় চার বছর ধরে চলতে আছে। ইতোমধ্যে দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন প্রদেশের ১৯ শতাংশ ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে রয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ২৮টি পয়েন্টের একটি শান্তি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে। খসড়া অনুযায়ী, ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসনের কিছু অংশ ছাড়লেও- ঝাপোরিজ্জিয়ায় অবস্থিত ইউক্রেনের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্ধেক মালিকানা রাশিয়ার হবে। যুদ্ধকালে রাশিয়া ও পুতিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তুলে নেওয়া হবে।
পুতিন আরো জানান, গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

