রয়টার্স এক্সক্লুসিভ—
সৌদি আরব ধীরে ধীরে দেশজুড়ে অ্যালকোহল বিক্রির নিষেধাজ্ঞা শিথিলের অংশ হিসেবে নতুন দুটি স্টোর খোলার পরিকল্পনা করছে। সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নতুন দোকানগুলোর একটি পূর্বাঞ্চলীয় ধাহরানে চালু হবে এবং এটি শুধুমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর অমুসলিম বিদেশী কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অন্যটি জেদ্দায় কূটনৈতিক কর্মীদের জন্য পরিকল্পনায় রয়েছে।
রাজধানী রিয়াদে গত বছর অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক অ্যালকোহল স্টোর চালুর পর এই দুই স্টোর সৌদি আরবে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে যোগ হবে। ধাহরানের স্টোরটি আরামকোর মালিকানাধীন কম্পাউন্ডে স্থাপন করা হবে এবং শুধুমাত্র কোম্পানির অমুসলিম কর্মীদের জন্য ব্যবহৃত হবে। জেদ্দার স্টোরটি কনসুল্যেটে কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকদের জন্য খোলা হবে। উভয় স্টোর ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হতে পারে, যদিও আনুষ্ঠানিক সময়সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
রিয়াদের স্টোর চালুর পর নতুন কোনো বিধি পরিবর্তন আনাসহ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও- অমুসলিম ‘সৌদি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি’ধারীদেরও কেনাকাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে সৌদি আরবে অ্যালকোহল কেবল কূটনৈতিক চ্যানেল, ব্ল্যাক মার্কেট বা ঘরোয়া উৎপাদনের মাধ্যমে পাওয়া যেত।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দেশটিতে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে দ্রুত সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে। নিষিদ্ধ কার্যক্রম যেমন মরুভূমিতে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, সিনেমা হল এবং নারীদের গাড়ি চালানোর সুযোগ বর্তমানে বাস্তবে এসেছে।
এছাড়া, তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্য নিয়ে দেশটি পর্যটন খাতে মনোযোগ দিচ্ছে। রেড সি গ্লোবাল প্রকল্পের আওতায় আগামী মে মাসের মধ্যে ১৭টি নতুন হোটেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও সেগুলো এখনও ‘ড্রাই’ বা অ্যালকোহল-মুক্ত।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সৌদি আরব পর্যটন এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি দিতে পারে, কিন্তু সরকার তা অস্বীকার করেছে। পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতিব জানিয়েছেন, “আমরা বুঝি অনেক আন্তর্জাতিক পর্যটক সৌদিতে ভ্রমণকালে অ্যালকোহল পেতে চান, তবে এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি।”

