জাতিসংঘ জানিয়েছে, জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শুনানির সূচি অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে মিয়ানমার। আদালত দুই পক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার জন্য তিন দিন করে সময় নির্ধারণ করেছে। তবে এ শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
২০১৯ সালে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ গাম্বিয়া এ মামলাটি দায়ের করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মিলিশিয়ারা নৃশংস অভিযান চালায়। ওই অভিযানের সময় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকে বক্তব্য দেন গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী দাওদা জ্যালো। তিনি বলেন, আদালতের রায় তিনি শিগগিরই দেখতে চান। তার বক্তব্যে বলা হয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমার দায়ী। এ অপরাধের জন্য মিয়ানমারের শাস্তি নিশ্চিত করতে গাম্বিয়া সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মিয়ানমারে ভয়াবহ সহিংসতার মুখে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা দেশটি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তারা সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারে প্রবেশ করে। বর্তমানে কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে তারা বসবাস করছে। সে সময় মিয়ানমারে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় ছিল।

