বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও একই সঙ্গে সবচেয়ে রহস্যময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নাম উচ্চারণ করলে যে কয়টি নাম বারবার উঠে আসে, তার একেবারে শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। হিব্রু ভাষায় ‘মোসাদ’ শব্দটির অর্থ মূলত ‘ইনস্টিটিউট’ বা প্রতিষ্ঠান। তবে এর আনুষ্ঠানিক নাম হলো দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশন্স। নাম যতটা নিরীহ শোনায়, বাস্তবতা তার ঠিক বিপরীত। বিশ্ব রাজনীতির পর্দার আড়ালে সংঘটিত বহু নাটকীয়, রক্তাক্ত ও বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে এই সংস্থার নাম জড়িয়ে আছে।
মোসাদকে অনেকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর, দুর্ধর্ষ ও কার্যকর গোয়েন্দা সংস্থা বলে অভিহিত করেন। তাদের অপারেশনাল দক্ষতা, নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য পূরণে নির্মম সিদ্ধান্ত গ্রহণের ইতিহাস মোসাদকে একটি আলাদা অবস্থানে নিয়ে গেছে। এই সংস্থাকে ঘিরে যত রহস্য, যত কিংবদন্তি ও যত চাঞ্চল্যকর গল্প রয়েছে, তা হয়তো অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থাকে ঘিরে নেই।
হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে প্রায় ৬০ লাখ ইহুদির মৃত্যুর পর বিশ্বের ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নের প্রকল্পে শামিল হয়েছিল। ইহুদি, খ্রিস্ট ও ইসলাম ধর্মের কাছে ‘পবিত্র ভূমি’ বলে পরিচিত বৃহত্তর প্যালেস্টাইনকেই তারা বেছে নিয়েছিল নতুন এই বাসভূমির জন্য। নাৎসিদের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ইহুদিদের সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতো। এই জায়নিস্ট আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে শুরু থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আসছে ইসরায়েল।
ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর করতে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে শুরু থেকেই প্রস্তুত ইহুদি এই রাষ্ট্র। আর এ কাজে ভয়াবহভাবে ব্যবহৃত হয় ইহুদিদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। কিন্তু নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতে ইসরায়েল যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে, তাকে ঘিরে বিতর্কের কোনো শেষ নেই। ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মী সংখ্যা কত তার পরিসংখ্যান কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হয় এর কর্মী সংখ্যা কম করে হলেও ১২০০ হবে। এর সদর দফতর ইসরায়েলের তেলআবিবে। সংস্থাটির জবাবদিহিতা দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মোসাদের প্রধান বিচরণ এলাকা বলতে কিছু নেই। বলা হয়ে থাকে, এদের নেটওয়ার্ক সমগ্র বিশ্বেই বিস্তৃত।
মোসাদের দায়িত্ব এতটাই বিশাল যে, সম্পূর্ণ বর্ণনা কঠিন। সাধারণভাবে বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্তহত্যা, বৈদেশিক নীতি-নির্ধারণে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরি, বিদেশি কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, সাইবার ওয়ারফেয়ার পরিচালনা, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ, ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা, ড্রোন আক্রমণ, গুপ্ত কারাগার পরিচালনা, বিশ্বের বড় বড় করপোরেশনের নীতি-নির্ধারণের চেষ্টা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্পিওনাজ—মোসাদের এ কাজের বাজেটও কারও জানা নেই। মোসাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এমএসএস, এফএসবি, এমআইএসআইআরআই, হিজবুল্লাহ ও হামাস। মোসাদের মোটো হচ্ছে: Where there is no guidance, a nation falls, but in an abundance of counselors there is safety.

যাত্রা শুরু:
১৯৪৮ সালের ১৪ মে আরব লিগের প্রত্যাখ্যানের মুখে দখল ভূমিতে ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর Central Institute of Co-ordination নামে মোসাদের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৫১ সালের মার্চ মাসে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মোসাদকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে রাখা হয়। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ান মোসাদ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মনে করতেন গোয়েন্দাবৃত্তি ইসরায়েলের প্রথম ডিফেন্স লাইন। টার্গেট দেশ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সন্ত্রাস দমন ও অপারেশনের পর এগুলো গোপন রাখা হচ্ছে মোসাদের প্রধান কাজ। মোসাদ ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা। এর কাজের রিপোর্ট ও গোয়েন্দা তথ্য সরাসরি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয়।
কুখ্যাত অভিযান ও কার্যক্রম:
আইখম্যান হান্ট ১৯৬০
১৯৬০ সালের কথা। আমেরিকার পেন্সিলভেনিয়ায় অবস্থিত নিউক্লিয়ার ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট বা নিউমেকে হঠাৎ করে পারমাণবিক অস্ত্র ও জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটে। বহু খোঁজাখুঁজি করেও চুরি যাওয়া জিনিসগুলি খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে নিউমেক তাদের পারমাণবিক সামগ্রী বিক্রির কারণে রাস্তায় ক্ষতিকারক রেডিয়েশন ছড়িয়ে দিয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ সবাই জানত, এসব কেবল গুজব। গুজব ছড়িয়েছে মোসাদের দ্বারা।
দক্ষিণ আমেরিকায় মোসাদ:
মোসাদ বহু বছর ধরে নাজি যুদ্ধপরাধী এডল্ফ ইচম্যানকে খুঁজছিল। ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনায় তার খোঁজ পাওয়া যায়। ১১ মে মোসাদের এজেন্টরা তাকে গোপনে আটক করে ইসরায়েলে নিয়ে আসে। উত্তর ইউরোপে ইহুদিদের হত্যা ও ক্যাম্প গঠনের অভিযোগে ইচম্যানকে সাজানো বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। ১৯৬৫ সালে লাটভিয়ার বিমানকর্মী হার্বার্টস কুকার্সকে উরুগুয়ে থেকে ফ্রান্স হয়ে ব্রাজিলে যাওয়ার পথে মোসাদের এজেন্টরা হত্যা করে। ১৯৭৬ সালে চিলির সাবেক মন্ত্রী অরল্যান্ডো লেটেলারকে ওয়াশিংটন ডিসিতে গাড়িবোমায় হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, এটি মোসাদের পরিকল্পিত হত্যা ছিল।
অপারেশন স্প্রিং অব ইয়ুথ:
১৯৭৩ সালের ৯ এপ্রিল রাতে ও ১০ এপ্রিল ভোরে লেবাননে বিমান হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের স্পেশাল ইউনিট বৈরুত, সিডন ও লেবাননে পিএলওর নেতাদের খুঁজছিল। এই অভিযানকে অপারেশন স্প্রিং অব ইয়ুথ বলা হয়।

আফ্রিকা অঞ্চলে:
১৯৮৪ সালে মোসাদ ও সিআইএ ইথিওপিয়ার ইহুদিদের সহায়তার জন্য অপারেশন মোসেস পরিচালনা করে। ১৯৭৬ সালে উগান্ডায় এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ১৩৯ ছিনতাই করা হয় মোসাদের দ্বারা। বন্দী মুক্তির জন্য এই অভিযানকে *অপারেশন অ্যান্টাবি* বলা হয়।
৯/১১-এর দায়:
নাইন/ইলেভেনের দায় কার— বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি। যদিও সিআইএর প্রাক্তন বিশ্বস্ত ওসামা বিন লাদেন ও তালেবানকে অভিযুক্ত করা হয়। হামলার দিনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে ৪ হাজার ইহুদি কর্মরত ছিলেন। তবে শুধু একজন নিহত হয়। মোসাদ এই হামলার পরিকল্পক নয়, তবে সঠিক প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি।
মিসর ও সিরিয়ায় প্রভাব:
মোসাদ ১৯৫৭ সালে মিসরে ওলফগ্যাং লজের নেতৃত্বে গুপ্তচর অভিযান চালায়। ১৯৬৪ সালে ইলি কৌহেন মিসরে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে সিরিয়ায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর সময় তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৬৭ সালের *সিক্স-ডে ওয়ার*-এ মোসাদ গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ভূমিকা রাখে। ১৯৬৯ সালে মিসরের গ্রিন আইল্যান্ডে ইসরায়েলি আকস্মিক হামলা চালানো হয়। ২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধেও মোসাদের অবদান লক্ষ্যণীয়।

ইরান ও ইরাকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ইতিহাস জটিল ও দীর্ঘ, যেখানে গুপ্তচরবৃত্তি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্ত। মূলত শাহের ইরানকে সমর্থন করা, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর ইরাকে প্রভাব বিস্তার করা এবং উভয় দেশে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন গোপন অভিযান ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। যদিও এর বিস্তারিত তথ্য প্রায়শই গোপন থাকে (যেমন: বিভিন্ন অপারেশন), প্রকাশিত তথ্যগুলো মূলত বিশ্লেষণ ও অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
ইরানে মোসাদের ভূমিকা (শাহের আমল ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র):
শাহের আমলে (১৯৭৯ এর আগে): মোসাদ ইরানের শাহের সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। এ সময় মোসাদ ইরানের SAVAK (গোয়েন্দা সংস্থা)-এর সঙ্গে সহযোগিতা করত এবং ইরানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করত।
ইসলামি বিপ্লবের পর (১৯৭৯ থেকে): বিপ্লবের পর ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। মোসাদ এরপর থেকে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার—বিশেষত বিপ্লবী গার্ড, কুদস ফোর্স এবং পারমাণবিক কর্মসূচির—বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে।

মোসাদ ইরানকে বড় হুমকি মনে করে। ২০০৭ সালে ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানী ড. আরদেশির হোসেনপুরকে হত্যা করে মোসাদ। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তিনি গ্যাস বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে: মোসাদ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি মনে করে। এর বিরুদ্ধে বহু গুপ্ত অভিযান, বিজ্ঞানী হত্যা (যেমন ড. মোস্তফা ফখরিজাদে, ড. আরিফ হোসেনি) এবং সাইবার হামলা (যেমন Stuxnet) চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করা।
ইরাকে মোসাদের ভূমিকা:
ইরাকে মোসাদ সিআইএ সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করে। ১৯৬৬ সালে মুনির রিদফাকে বিমানসহ ইসরায়েলে নিয়ে আসে। ১৯৭৮–১৯৮১ পর্যন্ত অসরিক নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো হয়। ১৯৮১ সালে অপারেশন স্ফিঙ্কস-এ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে রিঅ্যাক্টর ধ্বংস করা হয়। সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে বিশেষত উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়, মোসাদ ইরাকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও তথ্য সংগ্রহ করত এবং সাদ্দামের ক্ষমতা হ্রাসে সচেষ্ট ছিল।
সাদ্দামের পতনের পর (২০০৩ থেকে): সাদ্দামের পতনের পর ইরাকে ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। মোসাদ ইরাকের বিভিন্ন শিয়া মিলিশিয়া ও রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নজর রাখে, যারা ইরানের ঘনিষ্ঠ। ইরাকের ভূখণ্ডে ইরানের প্রভাব বিস্তার মোকাবিলা করা মোসাদের অন্যতম লক্ষ্য।
সীমান্তবর্তী অভিযান: ইরাক-ইরান সীমান্ত এবং ইরাকের অভ্যন্তরে ইরানের প্রভাবাধীন অঞ্চলে মোসাদের গোপন অপারেশন, যেমন ‘অপারেশন ইটারনাল রেইন’, পরিচালিত হয়েছে বলে জানা যায়।
মূল কার্যক্রম ও পদ্ধতি:
- গুপ্তচরবৃত্তি ও তথ্য সংগ্রহ: উভয় দেশেই এজেন্ট নিয়োগ এবং ইলেকট্রনিক নজরদারির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ।
- গোপন অভিযান (Covert Operations) : বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে অপারেশন পরিচালনা।
- রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ : ইরানের প্রভাবাধীন শিয়া মিলিশিয়াদের দুর্বল করা এবং ইরাকি রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার।
- সাইবার যুদ্ধ : ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় Stuxnet ভাইরাসের মতো সাইবার হামলা।
কাজের পদ্ধতি ও বিভাগ:
ইসরায়েল রাষ্ট্রই টিকে আছে মোসাদের জন্য। বিশ্ব রাজনীতি ও কূটনীতিতে মোসাদের দাপুটে প্রভাব, কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলের কোনো ক্ষতি করা প্রায় অসম্ভব। মোসাদের মোট ৮টি বিভাগ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- কালেকশন ডিপার্টমেন্ট: আন্তর্জাতিক তথ্য সংগ্রহ, সাংবাদিক ও কূটনীতিক পর্যবেক্ষণ।
- পলিটিক্যাল অ্যাকশন ডিপার্টমেন্ট: বন্ধুভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংযোগ।
- স্পেশাল অপারেশন ডিপার্টমেন্ট: গুপ্তহত্যা ও বিশেষ অভিযান।
- ল্যাপ ডিপার্টমেন্ট: প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি ও যুদ্ধ পরিকল্পনা।
- রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট: প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে গবেষণা।
গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, ধারণা ও তত্ত্ব প্রচার, গবেষণার জন্য ইসরায়েলি ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি গঠিত। এর প্রধান সদস্য: আমান, মোসাদ ও শাবাক। দেশে ও দখলকৃত ভূখণ্ডে মোসাদ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। মোসাদের এই কার্যক্রমগুলো মূলত ইসরায়েলের নিরাপত্তা স্বার্থ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি সরকার সাধারণত নিশ্চিত করে না। ফলে বেশিরভাগ তথ্যই বিশ্লেষক ও প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুমান ও বিশ্লেষণের উপর নির্ভরশীল।

