মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের পথে রওনা হওয়ার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শনিবার রাতে সংঘটিত এই ঘটনার তথ্য দিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতভর প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে কিয়েভ ও তার আশপাশের অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী প্রায় ৫০০ ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় বাহিনী বেশ কিছু হামলা ঠেকাতে সক্ষম হলেও যেগুলো আটকানো যায়নি, তার আঘাতে অন্তত ২ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলার মূল লক্ষ্য ছিল কিয়েভের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এই হামলায় কিয়েভ এবং আশপাশের বিশাল এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৭৫ হাজার বাড়িঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সিয়ে কুলেবা জানান, রুশ হামলার ফলে কিয়েভের ৪০ শতাংশ আবাসিক ভবন বিদ্যুৎহীন হয়েছে। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকায় বিদ্যুৎহীনতার কারণে রাজধানীর বাসিন্দারা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ওয়াশিংটন পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ার হামলা স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে যুদ্ধ থামানোর জন্য ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শান্তিপূর্ণ আলোচনায় তারা সৎ মনোভাব প্রদর্শন করছে না।”

