বর্তমান বিশ্বে চলছে থমথমে হিংসাত্মক মূলক রাজনীতি। একের পর এক নাটকীয় অন্যায় অবিচার হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। এভাবে চলতে থাকলে যে কোনো সময় বড় কোন যুদ্ধ সংঘটিত হবার আশংকা দেখা যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন।
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা দ্রুত সমালোচনা করতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর একদিন পর গুতেরেসের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী ও দশ অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র। খবরটি নিশ্চিত করেছে-ডয়েচে ভেলে।
ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্রের একটি কার্যকর সম্পর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা জাতিসংঘ মহাসচিবের কাজ ও অফিশিয়াল কোন বিষয়ে ক্ষতি করার মনভাব ও উদ্দেশ্য থেকে বিরত থাকতে সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা করার পর থেকে ইসরায়েল ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক মাঝেমধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। বুধবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তিনি কোন কারন বসতই ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা’ জানাতে গুতেরেসের ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিবকে ‘ইসরায়েলবিরোধী, সন্ত্রাসবাদী, ধর্ষক ও খুনিদের সমর্থক’ হিসেবেও অভিহিত করেন কাটজ। ‘আগামী প্রজন্মের কাছে গুতেরেস জাতিসংঘের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে, বলেন কাটজ।
তবে গুতেরেস কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের বিষয় নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। ঐ দিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ‘আমি আবারও ইসরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা করছি।’ আপনার সংঘাতবিরত করুন, যেখানে ইরান ও ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।