সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ‘ঐতিহ্যের স্পন্দন, আগামীর স্পন্দন’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী থাই উৎসব। থাইল্যান্ডের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনী প্রতিভা সৌদি জনগণ এবং প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরতে এই বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করেছে রিয়াদে অবস্থিত রয়েল থাই দূতাবাস।
২ ও ৩ মে রিয়াদের কূটনৈতিক জোনের সাংস্কৃতিক ভবনে অনুষ্ঠিত এ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের সংস্কৃতিমন্ত্রী সুদাওয়ান ওয়াংসুফাকিজকোসোল ও সৌদি সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আবদুল্লাহ আল-সৌদ। উৎসবটিকে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন থাই রাষ্ট্রদূত ডার্ম বুন্থাম।
উৎসবে স্থান পেয়েছে থাই হস্তশিল্প, স্বাস্থ্যসেবা পণ্য, পরিবেশবান্ধব পর্যটনের ধারণা, ঐতিহ্যবাহী থাই খাবার, সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, থাই সিনেমার প্রদর্শনী, মুয়ে থাই বক্সিং, থাই ফ্যাশন শো এবং ইউনেস্কোর স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী ‘খন’ মুখোশধারী নৃত্যনাট্য।
থাই দূতাবাসের ভাষ্য অনুযায়ী, এ উৎসব শুধু সাংস্কৃতিক বিনিময় নয় বরং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর এক সম্ভাবনাময় প্লাটফর্ম। বর্তমানে সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য ৮৮০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৭ সালের মধ্যে ১ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতোমধ্যে থাই এয়ারএশিয়া এক্স রিয়াদ-ব্যাংকক রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনাও করেছে।
উৎসবটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন সৌদি-থাই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার তিন বছর পূর্ণ হলো। থাই রাষ্ট্রদূতের মতে, এই আয়োজন দু’দেশের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার বন্ধনকে আরও মজবুত করবে।

