Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sat, Nov 1, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বানিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » প্রতীক বিতর্কে নির্বাচন কমিশনের ঘূর্ণিঝড়
    মতামত

    প্রতীক বিতর্কে নির্বাচন কমিশনের ঘূর্ণিঝড়

    এফ. আর. ইমরানOctober 31, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    মহিউদ্দিন আহমদের কলাম—

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক দিন ধরেই নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছিল। কোন দল কাকে কোন আসনে মনোনয়ন দেবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থীতালিকা প্রায় ঠিক করে এনেছে। একটা ভালো নির্বাচন হবে, নাগরিকেরা অবাধে ভোট দিতে পারবেন, নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি শান্ত থাকবে—এটাই সবার চাওয়া। আগের নির্বাচন কমিশনগুলোর অনেক দুর্নাম ছিল। নতুন নির্বাচন কমিশন সেসব কাটিয়ে উঠে নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের হারানো আস্থা আবার ফিরিয়ে আনবে বলে সবার আশা।

    নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আসলেই কি স্বাধীন? যদি তা–ই হয়ে থেকে, তাহলে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত। আমরা আগে দেখেছি, কাগজে-কলমে কমিশনকে যতই স্বাধীনতা দেওয়া হোক না কেন, সেখানে যাঁরা আছেন, তাঁদের আনুগত্য কমিশনের প্রতি, নাকি সরকারের প্রতি, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কমিশনে একজন প্রধানসহ যে ছয়জন আছেন, তাঁরা সবাই সরকারি চাকুরে ছিলেন। কেউ সচিবালয়ে, কেউ বিচার বিভাগে, কেউ সামরিক বাহিনীতে। সরকারের কাজকর্ম যেমন নানা বিধিবিধানের জালে বাধা পড়ে থাকে এবং সরকারি চাকরি করাকালে ওপরওয়ালার হুকুম তামিলের যে অভ্যাস গড়ে ওঠে, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে তাঁরা কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারেন, সেটি দেখার বিষয়।

    সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকাকালে তাঁরা সব সময় দেখতেন, কাগজে কী সব নিয়ম লেখা আছে। সেখানে পান থেকে চুন খসার উপায় নেই। কোনো বিষয়ে একটা জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রায়ই একটা অজুহাত শোনা যায়, এটা তো নিয়মে নেই। তো সেই নিয়ম পাল্টাতে হলে নতুন আইন লাগে, সংসদে সেটা পাস হতে হয়। তারপর গেজেট হয়। তত দিনে প্রয়োজনটা হয়তো ফুরিয়ে যায় কিংবা বড্ড দেরি হয়ে যায়। সম্প্রতি একটা বিষয় নজর কেড়েছে।

    নির্বাচনে মার্কা বা প্রতীক ব্যবহৃত হয়ে আসছে শত বছর ধরে। নিরক্ষর মানুষ ব্যালটে নাম পড়ে সিল দিতে পারেন না। প্রার্থীকে চিনতে হলে তাঁর মার্কা চিনতে হয়। সে জন্য মার্কা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক দিন ধরে ফলাও করে বলে আসছি যে সামাজিক নানা সূচকে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। দেশে সাক্ষরতার হার অনেক বেড়েছে। বাস্তবের ছবিটা ভিন্ন। এখনো দেশের সিংহভাগ মানুষ লিখতে ও পড়তে পারেন না। অনেকেই আছেন, শুধু নাম সই করা মুখস্থ করেছেন। আমরা এত দিন তাঁদের ধরেই সাক্ষরতার হার ঘোষণা করে এসেছি। এ ‘সাফল্য’ দেখিয়ে আমাদের নেতা–নেত্রীরা বিদেশ থেকে অনেক পুরস্কার আর সনদ নিয়ে এসেছেন। তাঁরা যতবার বাইরে যান, একটা করে পুরস্কার নিয়ে আসেন। এটা একটা বড় ধরনের প্রতারণা।

    দল ও ব্যক্তির কাছে নির্বাচনী প্রতীক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতীক যত বেশি পরিচিত, জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত, সেই প্রতীকের চাহিদা তত বেশি। এ কারণেই চাঁদ, তারা, সূর্য, নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লার এত চাহিদা।

    একবার একটি দলকে কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে পরের নির্বাচনগুলোতে সেই প্রতীকের ব্যাপারে ওই দলের অগ্রাধিকার থাকে। দলের চাওয়া অনুযায়ী যদি প্রতীক বরাদ্দ না করা হয়, তাহলে সেটি দলের কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে। মনে আছে, তিয়াত্তরের নির্বাচনের সময় জাসদ প্রথম পছন্দ হিসেবে নৌকা প্রতীক চেয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সেটি আমলে নেয়নি। নৌকা পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনের যুক্তি ছিল, যেহেতু আওয়ামী লীগ এই প্রতীকে আগেও নির্বাচন করেছে, সুতরাং এটি তাদের প্রাপ্য। জাসদ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে হেরে গিয়েছিল। পরে জাসদ মশাল প্রতীক পায়।

    মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক

    ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। প্রতীক ছিল দাঁড়িপাল্লা। নির্বাচন কমিশন প্রথমে এই প্রতীক বরাদ্দ দিতে চায়নি। কমিশনের যুক্তি ছিল, দাঁড়িপাল্লা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের লোগো, সুতরাং এই প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দলকে দেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এ নিয়ে জামায়াত নেতারা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাঁরা এই প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। এটি তাঁদের পরিচিতি হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। কমিশন জামায়াতের আবেদনে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের জন্য দাঁড়িপাল্লা বহাল রাখে।

    আমাদের দেশের রাজনীতির আকাশে একটি নতুন তারা হিসেবে মিটমিট করে জ্বলছে এনসিপি নামের একটি দল। বয়স এক বছরও হয়নি। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কেরা এই দল তৈরি করেছেন। দলটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে। আরেকটি দল, নাগরিক ঐক্যও শাপলা চেয়েছিল। কমিশন তাদের কাউকে এই প্রতীক দেয়নি। নাগরিক ঐক্য পেয়েছে কেটলি। এটি নিয়ে তারা মোটামুটি খুশি। কমিশনের সঙ্গে তারা বিবাদে জড়ায়নি।

    কিন্তু এনসিপি শাপলা পেতে মরিয়া। তারা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। বলেছে, এ প্রতীক ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন কমিশন বলছে, যেহেতু কমিশনের তালিকায় শাপলা নেই, এটি বিধিতে নেই। তাই এটি দেওয়া যাবে না। এটা একটা খোঁড়া অজুহাত মনে হয়। তালিকায় না থাকলে তালিকা কি পরিমার্জন করা যায় না? এটা কি আসমানি কিতাব যে বদলানো যাবে না? কোন দল কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। কমিশন তো এখানে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না! অথচ কমিশন বলছে, অন্য কোনো প্রতীক না নিলে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনসিপির জন্য একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে। মনে হচ্ছে, কমিশন গায়ের জোরে কথা বলছে। শেষ মুহূর্তে ইসি তালিকায় ‘শাপলা কলি’ প্রতীক যুক্ত করেছে। কিন্তু শাপলা আর শাপলাকলি তো এক জিনিস নয়। ইসি তার গোঁয়ার্তুমিই বজায় রাখল।

    কমিশন সম্ভবত ভুলে গেছে তার ভূমিকা। কমিশন হলো নির্বাচনের রেফারি। একটা খেলায় কোন দল কী রকম জার্সি পরবে, সেটি তো রেফারি ঠিক করে দিতে পারে না! দুই দলের জার্সি এক রকম হলে দুই দলের কাপ্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটা আপস করেন। পাকিস্তান আমলে দেখেছি, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একই রকম জার্সি—সাদা–কালো। তো খেলার দিন তারা নিজেরাই অন্য রঙের জার্সি পরে আসত।

    কমিশনের আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারার এক উপধারায় সংশোধন এনে বলা হয়েছে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল জোটভুক্ত হয়, তবে সেই নিবন্ধিত দল নিজস্ব প্রতীকেই নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে। আগে এ বিধানে নিজস্ব প্রতীক বা জোটের প্রতীক—দুটোর মধ্যে যেকোনোটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল দলগুলোর।

    প্রতীকসংক্রান্ত সংশোধনীটির সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। প্রতীকসংক্রান্ত বিধান অপরিবর্তিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো যদি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা যেন নিজেদের প্রতীক বা জোটের অন্য কোনো প্রতীক ব্যবহার করার স্বাধীনতা পায়—এই বিধানটাই বহাল থাকা উচিত।

    প্রশ্ন হলো, আগে তো এ নিয়ম ছিল না। চুয়ান্ন সালের নির্বাচনে যুক্ত ফ্রন্টের প্রতীক ছিল নৌকা। জোটে ছিল কৃষক শ্রমিক পার্টি, আওয়ামী মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম পার্টি। দল নিষিদ্ধ থাকায় নেপথ্যে সমঝোতা করে নৌকা প্রতীক নিয়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থীরা। স্বাধীন বাংলাদেশে জোটবদ্ধ হয়ে দলগুলো নির্বাচন করছে ১৯৮৬ সাল থেকে।

    জোটে থেকেও জোট সদস্যের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার উদাহরণ আছে, যেমন জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টি। আবার জোটের প্রধান দলের প্রতীকে ছোট দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন, যেমন জাসদ, সিপিবি, ন্যাপ-মোজাফফর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিজেপি, জাপা, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন ইত্যাদি। জোটের সদস্যরা কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে, এটা তো তাদের ইচ্ছার ব্যাপার। কমিশন কেন এখানে বাগড়া দিচ্ছে, সেটি আমার বুঝে আসে না।

    সারা জীবন সরকারি চাকরি করে স্যার বলতে বলতে আর শুনতে শুনতে মগজ হয়ে যায় বদ্ধ জলাশয়ের মতো। কিন্তু আমরা দেখে আসছি, নির্বাচন কমিশন হলো এ ধরনের লোকেদের অবসরজীবনের নিয়ামত। অথচ কথায় কথায় বিধি না দেখিয়ে তাদের হওয়া দরকার ‘প্রো-অ্যাকটিভ’। প্রশ্ন হলো, নির্বাচন কমিশন কি ইচ্ছা করে ঘোঁট পাকাচ্ছে, নাকি অন্য কারও ইশারায় নাচছে?

    • মহিউদ্দিন আহমদ লেখক ও গবেষক। সূত্র: প্রথম আলো

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা হঠাৎ কেন প্রশ্নবিদ্ধ?

    October 31, 2025
    মতামত

    আয়–বিনিয়োগ–বাণিজ্য স্থবির: সমস্যা কোথায়?

    October 30, 2025
    মতামত

    বেতনের মাপকাঠি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মেধার ওপর নির্ভর করা উচিত

    October 30, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.