ভোক্তা ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারছে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে।
ভোক্তা ঋণ শুধু অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে না, বরং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকেও শক্তিশালী করছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সহজ শর্ত, ছোট ঋণের আকার এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে নিম্ন-আয় ও গ্রামীণ গ্রাহকরা আনুষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থার আওতায় আসছে এবং জীবনমান উন্নত করছে।
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক প্রচলিত ঋণের পাশাপাশি নতুন ঋণ পণ্য বাজারে এনেছে। নিম্ন-আয় ও গ্রামীণ পরিবারের জন্য চালু করা হয়েছে অ্যাফোর্ডেবল আবাসন ঋণ। কম কাগজপত্র ও সহজ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে বহু পরিবার এখন নিজের ঘর তৈরির স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে পারছে।
গ্রিন অটো লোন সাধারণ মানুষের জন্য হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার সহজ করছে। এটি পরিবেশবান্ধব যাতায়াতকে উৎসাহিত করছে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করছে। বিকাশের সঙ্গে মিলিত ডিজিটাল ন্যানো ঋণ অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। যদিও এটি ভোক্তা ঋণ হিসেবে গণ্য, বহু নিম্ন-আয় গ্রাহক এই ঋণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছে। এতে তৃণমূল অর্থনীতি আরও গতিশীল হচ্ছে।
নারীর অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য। ন্যানো ঋণগ্রহীতার ২৮ শতাংশ নারী। এ বছর প্রায় ১ কোটি ন্যানো ঋণ বিতরণ হয়েছে, যার মোট পরিমাণ ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। ঋণগ্রহীতার অর্ধেকই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সার্বিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণনীতির কারণে ভোক্তা ঋণ দ্রুত বাড়ছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হচ্ছে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হচ্ছে।
অরূপ হায়দার, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিটি ব্যাংক।

