মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে, তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তে লেনদেন বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১০৯৩ ও ১৮২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এই পতনের কারণে ডিএসইতে ২৯১ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৪৫৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে, ২১১টি কোম্পানির দাম কমেছে এবং ৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির শেয়ার দর বেড়েছে, ৯৭টির শেয়ার দর কমেছে এবং ৩২টির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিন সিএসইতে মোট ১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে ৯ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ের এই ওঠাপড়ায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও সিএসই তে লেনদেন বেড়েছে, কিন্তু ডিএসই তে পতন বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে কিছুটা নেতিবাচক করেছে।

