ফেসবুক থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ভুয়া ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে অনলাইনে বিনিয়োগ প্রতারণার নতুন ফাঁদ তৈরি হয়েছে। অল্প সময়ে বড় মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এই তথ্য উঠে এসেছে গবেষণা সংস্থা ডিসমিস ল্যাবের প্রতিবেদনে।
ডিসমিস ল্যাব জানায়, প্রতারকরা প্রথমে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে বলা হয়, অল্প টাকায় দ্রুত মুনাফা পাওয়া সম্ভব। আগ্রহী ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নেওয়া হয়। সেখানে প্রতিদিন পোস্ট করা হয় ‘বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ’, ‘স্টক মার্কেট প্রশিক্ষণ’ ও ‘লাভের নিশ্চয়তা’ শিরোনামে। গ্রুপে সাজানো হয় প্রশংসাসূচক মন্তব্যও।
এরপর গ্রুপের মাধ্যমে পাঠানো হয় নিবন্ধনের কোড ও লিংক। প্রবেশ করলে দেখা যায় ভুয়া ওয়েবসাইট বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেখানে বিনিয়োগের নামে টাকা জমা দিতে বলা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের আগে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের বৈধতা যাচাই করা জরুরি। বিএসইসির অনুমোদিত ব্রোকারেজের বাইরে অন্য কারও কাছে অর্থ বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে যেসব বিজ্ঞাপনে অল্প সময়ে শতকরা লাভের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়, সেগুলোকে সন্দেহজনক ধরে নেওয়া উচিত।
প্রতারকরা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করলেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা দিলে প্রতারণা প্রমাণ করা ও আইনগত প্রতিকার পাওয়া কঠিন হয়। শেয়ারবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কড়া নজরদারি এবং সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া বিজ্ঞাপন শনাক্তের উদ্যোগ না বাড়ালে আরও অনেক মানুষ এ ধরনের প্রতারণার শিকার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।