চলতি বছরের জুন, জুলাই ও আগস্টে দেশের পুঁজিবাজারে ইতিবাচক রিটার্ন দেখা গিয়েছিল। তবে সেপ্টেম্বর মাসে সূচক কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগস্টে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বাড়ার পর সেপ্টেম্বর শেষে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেনও প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
পুঁজিবাজারের গতিবিধি অনুযায়ী, মে মাস শেষে ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৪ হাজার ৬৩৮ পয়েন্ট। জুনে সূচক বেড়ে ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে, জুলাইয়ে ৫ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে এবং আগস্টে ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। তবে সেপ্টেম্বর শেষে সূচক ১৭৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪১৬ পয়েন্টে নেমে আসে।
নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সেপ্টেম্বরে ১১২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টের শেষের ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টের তুলনায় কম। একইভাবে শরিয়াহ ইনডেক্স মাসের ব্যবধানে ৫৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে নেমেছে।
ডিএসইতে আগস্টে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছিল ৯৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে সেপ্টেম্বরে এটি কমে ৮৭৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে সেপ্টেম্বরের তুলনায় লেনদেন ৩০২ কোটি ২০ লাখ টাকা বেড়েছে। বছরের শুরু থেকে প্রতিমাসে দৈনিক গড় লেনদেনের হিসাবও পরিলক্ষিত হয়েছে।
মূলধন ক্ষেত্রেও পতন দেখা দিয়েছে। আগস্টে দেশের পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা। বাজার মূলধন আগস্ট শেষে ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায়।
ঢাকার পাশাপাশি চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও পতন দেখা দিয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই গত সপ্তাহে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৮০ পয়েন্টে নেমেছে। মাসের ব্যবধানে সিএসসিএক্স সূচক ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে ৯ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সেপ্টেম্বরে বিনিয়োগকারীদের মাঝে সতর্কতা ও বাজারের অস্থিরতা এই নেতিবাচক প্রবণতার মূল কারণ। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং স্থানীয় কোম্পানির ফলাফলের প্রভাব সূচকে পরিলক্ষিত হয়েছে।